প্রথম ওয়ানডেতে জিতে দারুণ কিছুরই আভাস দিয়েছিল আফগানিস্তান। কিন্তু শেষ দুই ওয়ানডেতে ছন্দ হারিয়ে সিরিজ হারের স্বাদ খুব বাজে ভাবেই পেলো হাসমাতুল্লাহ শহিদির দল। শেষ ওয়ানডেতে সফরকারীদের লজ্জায় ডুবিয়ে ২-১ এ সিরিজ জিতে নিলো শ্রীলঙ্কা।
সিরিজ নির্ধারনী শেষ ম্যাচে হাম্বানটোটায় টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেননি দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহিম জাদরান। ব্যক্তিগত ৮ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন গুরবাজ। তিনে এসে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন রহমত শাহ। কিন্তু তিনিও পারেননি, থেমেছেন মাত্র ৭ রানে। শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ইবরাহিমও, ২১ বলে ২২ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন কুমারার বলে বোল্ড হয়ে।
এরপর উইকেটে এসে টিকতে পারেননি অধিনায়ক হাসমাতুল্লাহ শহিদিও। তার ব্যাট থেকে আসে ৩ বলে মাত্র ৪ রান। দলের বিপর্যয় সামাল দেয়ার দায়িত্ব তখন নবির কাঁধে। আফগান ইনিংসের সর্বোচ্চ ২৩ রান আসে এই অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে। এরপর শেষের দিকের ব্যাটারদের নিয়ে চেষ্টা করেছিলেন গুলবাদিন নাইব। কিন্তু তিনি ২১ বলে ২০ রান করে আউট হলে বড় সংগ্রহের আশা শেষ হয় আফগানদের।
১১৭ এর লক্ষ্যে নেমে বিস্ফোরক ব্যাটিং করা শুরু করেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও দিমুথ করুণারত্নে। প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮৪ রান করে স্বাগতিকেরা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন নিশাঙ্কা। ১১ তম ওভারের প্রথম বলে নিশাঙ্কাকে এলবিডব্লু করে ৮৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন গুলবদিন নাইব। ৩৪ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন লঙ্কান এই ওপেনার।
এরপরও জিততে বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিকদের। ১৬ ওভারে ১ উইকেটে ১২০ রান করে ফেলে স্বাগতিকেরা। ২০৪ বল হাতে রেখে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বলের হিসাবে ওয়ানডেতে বড় জয় পায় শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন করুণারত্নে।
/আরআইএম
Leave a reply