স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নেত্রকোণা:
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে মো. মিলু (৪৮) নামের প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ জুন) দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বামেরচর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আটক মিলু মোহনগঞ্জ উপজেলার বামেরচর গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুখদেবপুর গ্রামের এক নারী নিজের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বুধবার দুপুরে শহর থেকে একটি অটোরিকশায় ওঠেন। এ সময় অটোরিকশাটিতে চালক ছাড়া আরও তিনজন যাত্রী ছিলেন। পথে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাড় হলে অটোর যাত্রী মিলু বলেন একটি ব্যাগ রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছেন তিনি। ব্যাগে একটি সোনার বার রয়েছে। সোনার বারটি তিনি বিক্রি করতে চান। অন্য যাত্রীরা জানান, তাদের কাছে টাকা নেই। তাই ওই নারী তার গলায় থাকা রোপার চেইন, কানের দুল, নাকের ফুলের বিনিময়ে সোনার বারটি নিতে রাজি হন। এতে মিলুও রাজি হয়ে যায়। পরে মিলুসহ অপর যাত্রীরা বামেরচর এলাকায় নেমে যায়। আর চালক ওই নারীকে তার বাড়ি সুখদেবপুর পৌঁছে না দিয়ে পথে শিংবাড়ি এলাকায় জোর করে নামিয়ে দিয়ে চলে যান।
বিকেলে বারটি নিয়ে ওই নারী বাড়ি গেলে এটি নকল বলে জানায় পরিবারের লোকজন। প্রতারিত হয়েছেন বলে বুঝতে পারেন ওই নারী। পরদিন সকালে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে প্রতারককে খুঁজতে বের হন ওই নারী। বামেরচর গিয়ে প্রতারক মিলুকে দেখতে পায়। ঘটনা জানালে এলাকাবাসী গিয়ে মিলুকে আটক করে। এক পর্যায়ে মিলু প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করে। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মিলুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
প্রতারণার শিকার ওই নারী জানান, মিলুর সাথে থাকা এ চক্রের অন্য সদস্যদের নাম জানিয়েছেন তিনি। তারা হলেন- বারহাট্টা উপজেলার দশাল গ্রামের রাজিব, সঞ্জয় ও দ্বীন ইসলাম।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ওই নারীর করা মামলায় মিলুকে গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আর তার সঙ্গীদের ধরতে চেষ্টা চলছে।
ইউএইচ/
Leave a reply