ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালে দুই প্রজন্মের দুই টেনিস তারকার এই লড়াইকে দেখা হচ্ছিল ফাইনালের আগে ফাইনাল হিসেবে। একদিকে শীর্ষ বাছাই ও ১টি গ্র্যান্ডস্ল্যামের মালিক ২০ বছর বয়সী স্প্যানিয়ার্ড কার্লোস আলকারাজ। অন্যদিকে ২২টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ী ৩৬ বছর বয়সী নোভাক জোকোভিচ। এই দ্বৈরথকে বলা হচ্ছিল ‘জেনারেশনাল ব্যাটল’। আর এখানেই সার্বিয়ান গ্রেটের বিরুদ্ধে ৬-৩, ৫-৭, ৬-১, ৬-১ সেটে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে আলকারাজকে। আর রাফায়েল নাদালের ২২টি গ্র্যান্ডস্ল্যামের রেকর্ড ভেঙে অমরত্ব নিশ্চিতের পথে জোকোভিচ এখন এক ম্যাচ দূরে দাঁড়িয়ে। এটিপি ট্যুরের খবর।
টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে রোলা গাঁরোর ফিলিপ শাত্রিয়ে কোর্টে শুরুর দুইটি সেটে হয় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। আলকারাজের বিপক্ষে নেমে দুর্দান্ত সব গ্রাউন্ডস্ট্রোকে নোভাক জোকোভিচ প্রথম সেট জেতেন ৬-৩ ব্যবধানে। পরের সেটেই ঘুরে দাঁড়ান স্প্যানিশ টেনিস তারকা। দুর্দান্ত লড়াই করে ৫-৭ ব্যবধানে জেতেন আলকারাজ। এরপরই ডান পায়ের কাফ মাসলে ক্র্যাম্প হয় এই স্প্যানিশ নাম্বার ওয়ানের। দুইবার এটিপির চিকিৎসক দ্বারা শুশ্রূষা নিতে হয় তাকে।
এরপর জোকোভিচের শটগুলোকে প্রথম দুই সেটের মতো ক্ষিপ্রগতিতে তাড়া করতে পারেননি আলকারাজ। তৃতীয় ও চতুর্থ সেটে ৬-১ ব্যবধানে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করেন ২২ গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী তারকা জোকোভিচ। আগামী ১১ জুন ফাইনালে তার প্রতিপক্ষ নরওয়ের কাসপের রুড।
ম্যাচ শেষে জোকোভিচ বলেন, প্রথমেই বলতে হয় আলকারাজের দুর্ভাগ্য নিয়ে। গ্র্যান্ডস্ল্যামের এই পর্যায়ে এসে পায়ের ক্র্যাম্প আপনি কোনোভাবেই চাইবেন না। তার কষ্ঠ অনুভব করতে পারছি। আমি নেটেও বলেছি যে, সে কতটা তরুণ। সামনের তার অনেক সময় পড়ে আছে। আমি নিশ্চিত, এই টুর্নামেন্ট সে আগামীতে অনেকবারই জয় করবে। অবিশ্বাস্য এক খেলোয়াড় সে, দুর্দান্ত লড়াকু এবং চমৎকার মানুষ। সকল করতালি ও সমর্থন তার প্রাপ্য।
/এম ই
Leave a reply