মায়ের কবরের পাশেই সমাহিত হলেন সিরাজুল আলম খান

|

সিরাজুল আলম খানের জানাজায় ঢল নামে সর্বস্তরের মানুষের।

নোয়াখালী করেসপনডেন্ট:

মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুনের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান। শনিবার (১০ জুন) বিকেলে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আলীপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করা হয়।

এর আগে, বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয় সিরাজুল আলম খানের ৩য় জানাজা। এরপর, তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের শাড়ি মুড়িয়ে তার কবরের পাশেই তাকে সমাহিত করা হয়।

দাফনের আগে মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলম খানকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল।

শনিবার দুপুরে পৈতৃক ভিটায় সিরাজুল আলমের মরদেহ নেয়া হয়। সেখানে এলাকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জানাজায় অংশ নেন হাজারও মানুষ। এ সময় প্রিয় নেতার লাশ দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

গতকাল শুক্রবার (৯ জুন) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান বাংলাদেশের রাজনীতির ‘রহস্যপুরুষ’ সিরাজুল আলম খান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘দাদাভাই’, ‘কাপালিক’ প্রভৃতি নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৯৬১ সালে ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক হন সিরাজুল আলম খান। এরপর ১৯৬৩ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। তার উদ্যোগেই ১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠিত হয়।

/এসএইচ/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply