বরিশালে শেষ মুহূর্তে উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

|

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চললেও দুপুরের দিকে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। এ সময় হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন হাতপাখার প্রার্থী ফয়জুল করিম ও নৌকার প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. আফজালুল করিম।

সোমবার (১২ জুন) ভোটগ্রহণ শুরুর আড়াই ঘণ্টার মাথায় নগরীর কাউনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান হাতপাখার প্রার্থী ফয়জুল করিম। অভিযোগ, তাকে দেখে চড়াও হয় নৌকার সমর্থকরা। দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হয় হাতাহাতি। অবশ্য দ্রুতই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। দু’দফায় বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন ফয়জুল করিম।

এদিকে, হামলার খবর শুনে বাইরে থেকে বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকার দিকে আসতে থাকে হাতপাখা কয়েকশত সমর্থক। তারা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জড়ো হয়। সেখানে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (হাতপাখা) কর্মী-সমর্থকরা একত্রিত হয়ে শহরে ঢোকার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. আফজালুল করিম।

এছাড়াও হাতপাখার প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ আনেন তিনি। বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে সোমবার দুপুরে তিনি এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযোগপত্রে আফজালুল করিম বলেন, সিটি করপোরেশন ভোট চালাকালীন নগরীর প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই হাতপাখার প্রার্থী সৈয়দ মো. ফয়জুল করিম সদলবলে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঢুকে ভোটারদেরকে প্রভাবিত করছেন। তাকে বাধা দিলে নৌকা প্রতীকের কর্মীদের মারধর ও তার হাতপাখা মার্কার কর্মীদের দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ নৌকা প্রতীকের কর্মীদের বাধা দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে তিনি আরও বলেন, তাদের (হাতপাখা) নারী কর্মীরা ভোটের লাইনে দাঁড়ানো নারী ভোটারদের বেহেস্তের লোভ দেখিয়ে ভোট দানে প্রভাবিত করছেন। ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত দায়িত্বপ্রাপ্তদের অভিযোগ করলেও তারা সম্পূর্ণ অসহযোগিতা করছেন।

সবশেষ, অভিযোগ- পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ তৎপর আছে তারা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply