নাইজেরিয়ায় বর্জ্যের বিনিময়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে শিশুরা

|

অর্থের বদলে বর্জ্য জমা দিয়ে মেটানো যাবে বিদ্যালয়ের ফি। অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুযোগ তৈরি করতে এমনই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে নাইজেরিয়ার একটি স্কুল। উদ্দেশ্য, সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার পাশপাশি শহরকে আবর্জনামুক্ত করা। অভিনব এই উদ্যোগে বেশ সাড়াও মিলেছে। ঝরে পড়া অনেক শিক্ষার্থী আবারও ফিরেছে স্কুলে। খবর রয়টার্সের।

নাইজেরিয়ার লাগোসের ওই স্কুলে যারা আবর্জনা জমা দেন, সেই আবর্জনার সমমূল্য জমা হয় শিক্ষার্থীর একাউন্টে। যা স্কুলের ফি, ইউনিফর্মসহ অন্যান্য খরচ বাবদ ব্যয় করা হয়।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

ফাতিমোহ আদেওসান নামের এক অভিভাবক বলেন, যখন দেখলাম, তারা প্লাস্টিকের বদলে আমার সন্তানকে লেখাপড়ার সুযোগ দিচ্ছেন, তখন মনে হয়েছে আমার বোঝা অনেকটাই হালকা হয়েছে। আমি বর্জ্য নিয়ে আসলে সেটা তারা লিখে রাখে। পরে পুরো অর্থের সমান বর্জ্য জমা হলে আমাকে জানিয়ে দেয়, আমার ছেলের ফি জমা হয়ে গেছে। এছাড়া ছেলের খেলাধুলার পোশাক দরকার হলে স্কুল জানিয়ে দেবে, তার জন্য অতিরিক্ত কী পরিমাণ বর্জ্য জমা দিতে হবে।

স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন ক্লিনআপ ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে শিশুদের শিক্ষার এই সুযোগ দিয়েছে মাই ড্রিম স্টিড স্কুল। ব্যতিক্রমী উদ্যোগের সুফলও মিলেছে। মাত্র ৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করা বিদ্যালয়টির এখন শিক্ষার্থী সংখ্যা ১২০।

স্কুল মালিক ইসাক সাকসেস বলেন, এই উদ্যোগের সুফল আমরা এরইমধ্যে পেয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। আগে একটি মাত্র অ্যাপার্টমেন্টে ক্লাস হতো, এখন শিক্ষার্থীর চাপে সে সংখ্যা বাড়াতে হয়েছে। প্রতিটি শিশু মানসম্পন্ন শিক্ষা পাবে, এই স্বপ্ন পূরণে পথে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।

দুই কোটির বেশি বাসিন্দার শহর লাগোসে পথে ঘাটে দেখা মেলে ময়লার স্তূপ। শিক্ষিত নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন লাগোস গড়ে তুলতে কাজ করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply