দিনাজপুরে বঙ্গবন্ধু কলেজের নাম পরিবর্তন করে নিজ নামে করার অভিযোগে স্থানীয় এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপালের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার, শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত।
গত বৃহস্পতিবার বীরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের কার্যকরী সদস্য অজিবুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু কলেজের নাম পরিবর্তন করে নিজ নামের করার দায়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম এন গোপালের নামে করার অভিযোগ এনে আদালতে দুটি অভিযোগ দায়ের করেন। এর একটি বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতি ও সংরক্ষণ আইনে এবং অন্যটি মানহানির অভিযোগ। অভিযোগে বলা হয়েছে, স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল ক্ষমতার অপব্যবহার করে বঙ্গবন্ধু কলেজটির নাম পরিবর্তন করে নিজ নামে করেন। একইসাথে বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ সাইনবোর্ড নামিয়ে রাখেন তিনি।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে মামলার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিনিধিত্ব বা অনুমোদনের প্রয়োজন। সেটা না থাকায় একটি অভিযোগ গত বৃহস্পতিবারই খারিজ হয়ে যায়। আজ মানহানির অভিযোগের ওপর শুনানি হয়। ৫০০ ও ৫০১ ধারায় করা তোলা এ অভিযোগের ক্ষেত্রে অভিযোগকারীকে ‘সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি’ হতে হয়। অভিযোগকারী ‘সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির’ শর্ত পূরণ না করায় আদালত এই অভিযোগটিও খারিজ করে দেন।
এর ফলে, কলেজটির নাম এম এন গোপালের নামেই থাকছে। জানা যায়, এই কলেজটি প্রতিষ্ঠার সময় এর নাম রাখা হয় পলাশবাড়ী আদর্শ মহাবিদ্যালয়। পরে স্থানীয়ভাবে দাবি ওঠে এটির নাম বঙ্গবন্ধুর নামে করার। এজন্য শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হলেও নিয়মঅনুয়ায়ী বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের অনুমতি না নেওয়ায় সেটি তখন অনুমোদন পায়নি। এই সুযোগে স্থানীয় এমপি তার নামে কলেজটির নামকরণ করে নেন।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply