হাতপাখা প্রার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে দল থে‌কে অব্যাহতি চাইলেন কুয়াকাটার আ. লীগ নেতা

কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম হাওলাদার। ছবি : সংগৃহীত

স্টাফ ক‌রেসপন‌ডেন্ট, পটুয়াখালী:

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে দল থে‌কে অব্যাহ‌তির চেয়েছেন কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম হাওলাদার।

বুধবার (১৪ জুন) বেলা ১১টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের হল রুমে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন ‌তি‌নি। তবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী লিখিতভাবে দলের সভাপ‌তি বা সাধারণ সম্পাদ‌কের কা‌ছে অব্যাহ‌তি চেয়ে কোনো আবেদন করেন‌নি তিনি।

তবে পৌর আওয়ামী লী‌গ নেতৃবৃ‌ন্দের দাবি, আগামী পৌরসভা নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকে মেয়র পদে নির্বাচন করার আশায় দল থে‌কে অব্যাহ‌তির নাটক সাজিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, শাহ আলম হাওলাদার কুয়াকাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহ আলম বলেন, গত ১২ জুন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হাতপাখা মনোনীত প্রার্থী মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের উপরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেন। যে কারণে আমি মন থেকে অনেক ব্যথিত হয়েছি। তাই একজন মুসলমান হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই দলে আর থাকতে চাচ্ছি না।

তিনি আরও বলেন, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লার বেশ কিছু কার্যকলাপে আমি অতিষ্ঠ এবং ক্ষুব্ধ। সে কারণেও এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে ইসলামী আন্দোলনের সাথে রাজনৈতিকভাবে যোগদানের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি।

তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ পরিবার। আমার পুরো জীবন আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত ছিলাম। গত ৩০ বছর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সাংগঠনিক দায়িত্বে থেকে একজন একনিষ্ঠ আওয়ামী কর্মী হিসেবে কাজ করছি। তবে ১২ জুন আওয়ামীপন্থী কিছু লোক একজন আলেমের ওপরে হামলা করায় আমি ব্যথিত। একজন মুসলমান হিসেবে এই হামলার প্রতিবাদ স্বরূপ আওয়ামী জীবনের ইতি টেনেছি।

জানতে চাইলে কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা বলেন, কুয়াকাটা পৌরসভায় আগামী নির্বাচন সন্নিকটে। ওই নির্বাচনে শাহ আলম হাওলাদার হাতপাখা নিয়ে নির্বাচন করার স্বপ্ন দেখছেন। যে কারণে গত কয়েক মাস যাবত তি‌নি হাতপাখার পেছনে ছুটছেন। যা কুয়াকাটার সবাই জানেন।

আব্দুল বারেক মোল্লা আ‌রও জানান, লোক মুখে শুনলেও এখন অব‌ধি শাহ আলম সাংগঠ‌নিকভা‌বে কোনো লিখিত অব্যাহ‌তি বা পদত্যাগপত্র জমা দেন‌নি।

এএআর/