মজিবুর রহমান জনির গোলে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জয় বাংলাদেশের

|

জয়ের পর বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের উল্লাস। ছবি : সংগৃহীত

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে গুরুত্বপূর্ণ প্রীতি ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। নমপেন অলিম্পিক স্টেডিয়ামে স্বাগতিক কম্বোডিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে সফরকারীরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয় ম্যাচ। এতে প্রথমার্ধেই লিড পায় জামাল ভূঁইয়ারা। জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন মজিবুর রহমান জনি।

ছবি: সংগৃহীত

কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই সমান দাপট ধরে রাখে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল। তবে প্রথম দুই মিনিটেই গোল হজম করার উপক্রম হয়েছিলো বাংলাদেশের। প্রথম ফ্রি-কিক বাংলাদেশের মানব দেয়ালে প্রতিহত হয়। এরপর একই মিনিটে কর্নার থেকে ঘুরে আসা বল ডি বক্সে পেলেও পোস্টে শট রাখতে পারেননি কম্বোডিয়ার অধিনায়ক কুচ সোকুমফিয়াক। এতে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে সফরকারীরা।

ছবি: সংগৃহীত

বিপরীতে কয়েক দফা কম্বোডিয়ার রক্ষণভাগে ঢুকেও গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি হাভিয়ের কাবরেরা শিষ্যরা। তবে স্কোর করতে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি লাল-সবুজ প্রতিনিধিদের। ২৪ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে উড়ে আসা বলে সরাসরি টোকায় বাংলাদেশকে লিড এনে দেন মজিবুর রহমান জনি। জাতীয় দলের জার্সিতে এটি ছিল তার প্রথম গোল।

গ্যালারিভর্তি দর্শক। ছবি: সংগৃহীত

এরপর ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে স্বাগতিকরা। গোল হজমের পরের মিনিটেই ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়েছিল কম্বোডিয়া। তবে সর রোতানার শট পোস্টের ওপর দিয়ে উঠে যায়। ২৯ মিনিটে আবারও সুযোগ আসে কম্বোডিয়ার সামনে। এবার গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন সোস সুহানা।

ম্যাচের ৪১তম মিনিটে ত্রাতা হয়ে আসেন আনিসুর রহমান জিকো। ডি বক্সের বাইরে থেকে চ্যানপলিনের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকে দেন দেশের অন্যতম সেরা এ গোলরক্ষক।

গোল করার পর মজিবুর রহমান জনি। ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয়ার্ধেও অব্যাহত থাকে কম্বোডিয়ার একের পর এক আক্রমণ। ৫২ মিনিটে ক্রস থেকে উড়ে আসা বলে পা ছুঁইয়ে ফেলেছিলেন সোস সুহানা। কিন্তু প্লেসিং করতে না পারায় হতাশ হতে হয় তাদের।

ম্যাচের ৬৮ মিনিটে গোলের খুব কাছে চলে গেলেও আবার হতাশা নিয়ে ফিরতে হয় স্বাগতিকদের। এবার পোস্টের একদম কাছ থেকে হেড দিয়েও জালের ঠিকানা পাননি কম্বোডিয়ার ৭ নম্বর জার্সিধারী ফুটবলার।

ছবি: সংগৃহীত

স্বাগতিকরা ম্যাচের শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছে সমতায় ফেরার। কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণ ভাঙ্গতে ব্যর্থ হলে ১-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। ম্যাচের শেষ মিনিটে ডিফেন্ডার তারিক কাজী দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখায় ১০ জনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। তবে এরপর আর সময় খুব বেশি না থাকায় বিপদ হয়নি। সাফের আগে এমন জয়ে বেশ উজ্জীবিত বাংলাদেশ দল।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply