পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়া হত্যাকাণ্ড, ১১ বছর পর গ্রেফতার মূল হোতা

|

গ্রেফতারকৃত রিপন নাথ ঘোষ।

২০১৩ সালে খুন হওয়া পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়াকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রিপন নাথকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, মাদক ব্যবসার দায়ে গ্রেফতার করায় হত্যার শিকার হন কনস্টেবল বাদল মিয়া।

শুক্রবার (১৬ জুন) দুপুরে কারওয়ান বাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ২০১২ সালে এক মাদকবিরোধী অভিযানে রিপনসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিলেন কনস্টেবল বাদল মিয়া। সে মামলায় জামিনে বেরিয়েই প্রতিশোধ নিতে বাদলকে হত্যার পরিকল্পনা করে রিপন ও তার সহযোগিরা। ঘটনার দিন শাহবাগ এলাকা থেকে কন্সটেবল বাদলকে অপহরণ করে মতিঝিলের কালভার্ট রোডে নিয়ে যায় খুনিরা। সেখানে কন্সটেবল বাদলকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে তারা। হত্যার পর মরদেহ গুম করতে টিঅ্যান্ডটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশের রোডে ফেলে যায় খুনিরা।

তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পর আদালত থেকে জামিন নিয়ে আত্মগোপনে যায় রিপন। পলাতক থাকা অবস্থায়ও টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা করতো সে। ছদ্ম নামে দিনে বাসের হেল্পারের কাজ করতো আর রাতে চলতো তার মাদকের কারবার।

এর আগে, মতিঝিলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সখ্যতা আর মাদক ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টতার দায়ে গ্রেফতার হয় রিপন নাথ ঘোষ। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে ওই মাসের ১১ তারিখে পুলিশ কন্সটেবল বাদল মিয়াকে হত্যা করে রিপন ও সহযোগীরা। এর প্রায় ১১ বছর পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকা থেকে রিপনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

প্রসঙ্গত, কনস্টেবল বাদল হত্যাকাণ্ডের দশ বছর পর গত ৬ জুন এ মামলায় রিপনসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকা ৭ম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত। আসামিদের মধ্যে একজন এখনও পলাতক আছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply