টাঙ্গাইলে ‘বীর নিবাস’ নির্মাণে অনিয়ম, দুদকে অভিযোগ ক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের

|

ভূঞাপুরে বীর নিবাস নির্মাণে সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করা, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধাদের।

স্টাফ করেসপনডেন্ট, টাঙ্গাইল:

টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরের বীর নিবাস প্রকল্প নির্মাণে উঠেছে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। সিডিউল মোতাবেক কাজ না করা, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ নানা অজুহাতে টাকা আদায় করায় ক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

২০২১ সালে শুরু হয় ভুঞাপুরের অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও বীর শহীদদের পরিবারের জন্য ৪৭টি পাকা বাড়ি ‘বীর নিবাস’ প্রকল্পের কাজ। দীর্ঘদিন পেরোলেও পুরোপুরি শেষ হয়নি একটি বাড়ির কাজও। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এ প্রকল্প নিয়েছে এরইমধ্যে উঠেছে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ।

উপকারভোগীরা বলছেন, সিডিউল মোতাবেক কাজ করেননি ঠিকাদাররা। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের পাশাপাশি নানা অজুহাতে টাকা আদায় করছেন তারা। নিম্নমানের কাজের বিষয়টি তুলে ধরায় ঠিকাদাররা নানাভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।

এদিকে, কাজে বিলম্বের বিষয়টি স্বীকার করলেও অনিয়মের অভিযোগ মানতে নারাজ ঠিকাদাররা।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অপু এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মিনহাজ উদ্দিন বলেন, করোনা মহামারির পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রভৃতি কারণে আমাদের একটু সময় লেগেছে। এটাই আমাদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর, ইউএনও জানিয়েছেন, অনিয়মের কিছু অভিযোগ পাওয়ায় কয়েকজন ঠিকাদারের বিল আটকে দেয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ভুঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলাল হোসাইন বলেন, এই প্রকল্পে অনিয়মের বেশ কিছু অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। এসব অনিয়মকারীর বিল আটকে দেয়া হয়েছে। কাজ পুরোপুরি শেষ করার পরই তাদেরকে বিল দেয়া হবে।

ভুঞাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, প্রতিটি বীর নিবাস নির্মাণে বরাদ্দ আছে ১৪ লাখ টাকা। এক তলা এসব বাড়ির প্রত্যেকটিতে থাকবে দু’টি বেড রুম, ড্রইং-ড্রাইনিং, রান্নাঘর ও দু’টি বাথরুম।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply