ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান অংশ নেবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত পিসিবি নয়, নেবে দেশটির সরকার। ঠিক যেভাবে ভারতের খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় সে দেশের সরকার। বিশ্বকাপের সম্ভাব্য সূচি পাওয়ার পর আইসিসিকে এমনটাই জানিয়েছেন পিসিবি সভাপতি নাজাম শেঠি। ২০১৬ সালে সরকারের ছাড়পত্র নিয়েই ভারতে খেলতে গিয়েছিল পাকিস্তান। এবারও সেরকম কিছু হতে যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন এই সভাপতি। তিনি জানিয়েছেন, ভারতে বিশ্বকাপ খেলবে কিনা পাকিস্তান, সে সম্পর্কে পিসিবি জানে না। জিও নিউজের খবর।
পাকিস্তান-ভারতের এশিয়া কাপ নিয়ে হওয়া দ্বন্দ্ব মিটেছে মাত্র ক’দিন আগেই। হাইব্রিড মডেলে খেলতে রাজি হওয়ায় বিসিসিআইকে ধন্যবাদও জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এই টুর্নামেন্টের পর নভেম্বরে ভারতে বসবে এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক দ্বৈরথের কারণে আসরের অফিসিয়াল সূচি এখনও ঘোষণা করতে পারেনি আইসিসি। বারবার সম্ভাব্য সূচি প্রকাশ করা হলেও সেটি চূড়ান্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।
মূলত শুরু থেকেই পিসিবির দাবি ছিল, গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো আহমেদাবাদে খেলবে না পাকিস্তান। আবার ভারত চায়, আহমেদাবাদেই আয়োজিত হোক ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। কারণ, সবচেয়ে বেশি আসন থাকা সেই স্টেডিয়াম থেকে আর্থিকভাবে সর্বোচ্চ লাভবান হতে পারবে ভারত।
এদিকে, বিকল্প হিসেবে চেন্নাইতে ম্যাচ আয়োজন করার কথা ভেবেছে বিসিসিআই। আইসিসির প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে কথা বললেও তাতে মন গলেনি পিসিবির। তবে সম্প্রতি সভাপতি নাজাম শেঠি বলেছেন, বিশ্বকাপ খেলতে পাকিস্তান ভারতে যাবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির সরকার। তিনি বলেন, আমরা আইসিসিকে জানিয়েছি, বিশ্বকাপ নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারবো না। আমরা খেলবো কিনা, সেটিও বলতে পারছি না। আমাদের সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, যেটা ভারতের বেলায় হয়েছিল। ভারত পাকিস্তানে খেলতে আসবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটির সরকার। আমরা আহমেদাবাদে খেলবো কিনা, সেটি পিসিবি বলতে পারবে না। সময় এলেই তা জানা যাবে। আগে নিশ্চিত হোক আমরা খেলতে যেতে পারবো কিনা।
এদিকে আইসিসির সম্ভাব্য সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ। আর সেটি আয়োজন করা হতে পারে আহমেদাবাদেই। এছাড়াও বিশ্বকাপে ভারতের আরও ৫টি শহরে খেলবে পাকিস্তান; যার মধ্যে রয়েছে কলকাতাও। তবে এই সূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি পিসিবি।
/এম ই
Leave a reply