কাজে মন বসে না? জেনে নিন আলসেমি কাটানোর ৫ উপায়

|

অফিসের কাজ হোক বা ব্যাক্তিগত, শেষ সময়ে এসে তাড়াহুড়া করার স্বভাব আছে অনেকেরই। সময়ের কাজ সময়ে শেষ না করতে পারার পেছনে যে বিষয়টি প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে তা হলো আলস্য। আর এই আলস্য কাটিয়ে কাজের চাপ কমানোর জন্য চাই কিছুটা মনোবল, ইচ্ছাশক্তি আর কৌশল।

সঠিক সময়ে সুষ্ঠুভাবে কাজ শেষ করতে পারার দক্ষতা অর্জনের জন্য মনোবল আর ইচ্ছাশক্তি বাড়ানোর উপায় আপনার হাতে। তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে লক্ষ্য অর্জন বেশ সহজ হয়ে যায়।

চলুন এবার আলস্য কাটিয়ে কাজে মন দেয়ার কিছু কৌশল রপ্ত করার যাক…

১. কাজগুলো দিন ভিত্তিক ভাগ করে নিন: একদম শেষের দিনের জন্য কোনো কাজ ফেলে রাখলে তা যতক্ষণ না শেষ হচ্ছে, মনের মধ্যে উদ্বেগ চলতে থাকে। এই প্রবণতা বাদ দিয়ে আগে থেকেই কোন দিন কোন কাজ করবেন তা ভাগ করে রাখুন। এক দিনে অনেক কাজ শেষ করতে হলে বেশি চাপ পড়ে যায়। তাই কাজগুলো বিভিন্ন দিনে ভাগ করে নিন।

২. অগ্রিম পরিকল্পনা করে রাখুন: জীবনে প্রতিটি কাজ সফলভাবে করার জন্য পরিকল্পনা অপরিহার্য। তাই কোনো কাজ হাতে আসলে সাথে সাথে সেটি কীভাবে করবেন তার একটি ছক করে ফেলুন। তাহলে শেষ মুহূর্তে করার প্রবণতা তৈরি হবে না। অন্যদিকে কাজ জমিয়ে রাখলে অলসতা তৈরি হবে।

৩. কাজের মধ্যে আনন্দ খুঁজে বের করুন: কাজের মধ্যে আনন্দ খুঁজে নেয়ার বিষয়টি বেশ জটিল। এটি অনেকখানি নির্ভর করে আপনার কর্মক্ষেত্রের পরিবেশের ওপর। তবে নিজের কাজের মধ্যে নিজেও চাইলে কিছুটা আনন্দ খুঁজে নিতে পারেন।

যেমন, একটানা অনেকক্ষণ কাজ করলে কাজের মধ্যে একঘেয়েমি চলে আসে। তখন কাজ করতে ইচ্ছা করে না। এ সময় মাঝেমধ্যেই ডেস্ককে সাজিয়ে নিতে পারেন। কোনো ইনডোর প্ল্যান্ট বা প্রিয়জনের ছবি দিয়েও সাজিয়ে নিতে পারেন নিজের ডেস্ক। মাঝেমধ্যে পছন্দের গান শুনতে পারেন। এতে কাজের প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে। আবার ফাঁক বুঝে কিছুক্ষণ বিরতি নিয়ে হেঁটেও আসতে পারেন।

৪. দিনের শুরুটা হোক প্রাণবন্ত: ভালো একটা দিন কাটাতে হলে দিনের শুরুটা হওয়া উচিত প্রাণবন্ত। নিজের ভাল লাগা থেকেই চিন্তা করতে পারেন, কীভাবে দিনের শুরুটা রঙিন করা যায়। কেউ সকালে শরীরচর্চা করেন, কেউ দিনটা শুরু করেন গান শুনে। সকালে চোখ খুলেই মোবাইল ব্যবহারের অভ্যাস অনেকের আছে। তবে এতে মানসিক প্রশান্তি আসে না মোটেও।

এ ক্ষেত্রে আগের রাতে পরেরদিনের কর্মপরিকল্পনা করে রাখতে পরেন। এতে সকালে উঠে কাজ করার একটা তাগিদ তৈরি হয়।

৫. খাবারে বদল আনুন: খাদ্যাভ্যাসে কোনো অনিয়মও আপনার আলসেমির কারণ হতে পারে। কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের মাত্রা কমিয়ে ডায়েটো প্রোটিন ও ফাইবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। চিকেন, ডিম, কাঠবাদাম, গ্রিক ইওগার্ট ডায়েটে বেশি করে রাখুন। এ ছাড়া ডায়েটে চিনির মাত্রা কমাতে হবে। যে সব খাবার ও পানীয়তে অতিরিক্ত চিনি আছে, তা এড়িয়ে চলুন।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply