নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানুষ যখন সোচ্চার এমন পরিস্থিতিতে সোমবার চট্টগ্রামে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে রেজাউল করিম রনি নামের যুবককে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এখনও আটক হয়নি লুসাই পরিবহন নামের বাসটির চালক ও সহকারী। সম্পন্ন হয়েছে নিহত রনির ময়নাতদন্ত।
নিহত রেজাউল করিম (৩৫) সিটি গেট এলাকার মো. ওয়ালি উল্লাহর ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর রনির মরদেহ হস্তান্তর করা হয় পরিবারের কাছে।
এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। লাশ দাফনের পর বাস চালক ও হেলপারের নামে আকবর শাহ থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তারা এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিটি গেট এলাকায় হেলপারের সাথে ঝগড়ার পর চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয় রনিকে। যাত্রীরা গড়ি থামতে বললেও চালক ও হেলাপার। যাত্রীদের চাপে কিছু দূর গিয়ে রাস্তায় বাসটি রেখে পালিয়ে যান চালক ও সহকারী। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘণ্টাখানেক অবরোধ করে রাখেন।
এর আগে, গত ২২ জুলাই চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার এলাকায় বেপরোয়া ট্রাক চালানোর প্রতিবাদ করায় বেকারি কর্মী আমানউল্লাহর ওপর দিয়ে ট্রাক তুলে দেন চালক। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আমানউল্লাহ।
২১ জুলাই ঢাকায় যাওয়ার পথে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েলকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া এলাকায় বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply