Site icon Jamuna Television

তাইওয়ান ইস্যুতে কোনো ছাড় নয়, ব্লিনকেনের চীন সফরে ওয়াং ই

ছবি: সংগৃহীত

তাইওয়ান ইস্যুতে কোনো ছাড় নয়; মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সাথে বৈঠকে সাফ জানিয়েছেন চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই। সোমবার (১৯ জুন) বেইজিংয়ে আলোচনায় বসেন দুই নেতা। এ সময় আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের তাগিদ দেন চীনা কূটনীতিক। অন্যদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যেকোনো মূল্যে নিজ স্বার্থ রক্ষায় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে ওয়াশিংটন। সিবিএস নিউজের খবর।

তাইওয়ান-হংকং-গুপ্তচরবৃত্তি আর বাণিজ্য নীতিসহ নানা ইস্যুতে এখন সবচেয়ে উত্তপ্ত সময় পার করছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যেই বেইজিং সফরে গিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। গেল ৫ বছরের মধ্যে এটাই প্রথমবারের মতো শীর্ষ কোনো মার্কিন কূটনীতিকের বেইজিং সফর।

সোমবার চীনের শীর্ষ পররাষ্ট্র কর্মকর্তা ওয়াং ই’র সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লিনকেন। বেইজিংয়ের একটি সরকারি অতিথি ভবনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান চীনা কূটনীতিক। পরে নিজ নিজ প্রতিনিধিদল নিয়ে তারা বসেন আলোচনার টেবিলে। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলা এ বৈঠকে উঠে আসে চলমান নানা ইস্যু।

তবে দুই দেশের পররাষ্ট্র দফতর থেকেই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আলোচনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় তাইওয়ান ইস্যুটি। চীনা কূটনীতিকের সাফ জবাব, তাইওয়ান নিয়ে একবিন্দু ছাড় দেবে না চীন। অন্যদিকে, প্রতিযোগিতা যেন সংঘাতে না পরিণত হয় সেই আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই বলেছেন, তাইওয়ান ইস্যুতে কোনো ছাড় দেবে না বেইজিং। চীনের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে মার্কিন হস্তক্ষেপ আমরা কোনোভাবেই মেনে নেবো না। ওয়াশিংটনের সামনে দু’টি পথ খোলা আছে। হয় আলোচনা, না হয় সংঘাত।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, প্রতিযোগী সংঘাতে পরিণত হওয়াটা কাম্য নয়। মার্কিন নাগরিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলোতে ওয়াশিংটন তার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং উদ্বেগ প্রকাশ অব্যাহত রাখবে।

কয়েক বছর ধরেই নানা ইস্যুতে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে। গেল ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বেইজিং সফরের কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে রহস্যময় বেলুন ওড়ানোকে কেন্দ্র করে। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর জন্য ওই বেলুনগুলো পাঠায় বেইজিং। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করে আসছে চীন।

/এম ই

Exit mobile version