নিখোঁজ সাবমেরিন থেকে শব্দ; সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে উদ্ধার অভিযান

|

ছবি: সংগৃহীত

টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের সন্ধানে অভিযানে যাওয়া সাবমেরিন টাইটান নিখোঁজ হওয়ার পর উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে চলছে ব্যাপক অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান। বুধবার (২১ জুন) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের খোঁজে তল্লাশিরত কানাডার একটি আকাশযান গভীর পানি থেকে শব্দ শনাক্ত করেছে। গতকাল মঙ্গলবার অনুসন্ধানের তৃতীয় দিনে কানাডীয় উড়োজাহাজ এসব শব্দ শনাক্ত করে। তবে দুইদিন পরও আটলান্টিকে নিখোঁজ ডুবোযান টাইটান’র সন্ধান না মেলায় ক্ষীণ হচ্ছে ৫ ধনকুবের আরোহীকে উদ্ধারের সম্ভাবনা। রয়টার্সের খবর।

সাবমেরিনটিকে খুঁজে বের করার জন্যে সাগরের তলদেশে রোবটের সাহায্যে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। তবে এখনও নিখোঁজ সাবমেরিনটিকে শনাক্ত করা যায়নি। আরওভি’র (দূর থেকে চালিত যান) মাধ্যমে নতুন করে নির্ধারিত এলাকাগুলোতে চালানো তল্লাশিগুলো এখনও পর্যন্ত নিস্ফল হলেও অভিযান চলবে, এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন কোস্টগার্ড।

টাইটান সাবমেরিনটি ২১ ফুট দীর্ঘ। মূলত, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাবমেরিন সরবরাহকারী কোম্পানি ওশানগেট এটি পরিচালনা করে। গত রোববার (১৮ জুন) আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে পর্যটকদের নিয়ে রওনা দিয়ে নিখোঁজ হয় ‘টাইটান’। ওই টুরিস্ট সাবমেরিন পাঁচজন আরোহী নিয়ে কানাডার উপকূলীয় আটলান্টিক মহাসাগরে ডুব দেওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় এর সঙ্গে পানির ওপরে থাকা জাহাজ পোলার প্রিন্সের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকেই উত্তর আটলান্টিকের বিশাল এলাকাজুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু হলেও মঙ্গলবার শেষ খবর পর্যন্ত ডুবোযানটির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

যে পরিমাণ অক্সিজেন সাবমেরিনটিতে মজুত থাকে, তা দিয়ে ৯৬ ঘণ্টা পানির নিচে টিকে থাকা যায়। সে অনুযায়ী, যদি সাবমেরিনটি এখন পর্যন্ত অক্ষত থাকে, তাহলে এর আরোহীরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ পাবেন।

সাবমেরিনটির আরোহীদের মধ্যে ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান এবং ব্রিটিশ অভিযাত্রী হামিশ হার্ডিং রয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের সঙ্গে ফ্রান্সের নৌবাহিনীর সাবেক ডুবুরি পল হেনরি নারজোলেট  এবং ওশেনগেইটের প্রধান নির্বাহী স্টকটন রাশও রয়েছেন।

১৯১২ সালে ইংল্যান্ডের নিউ সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে প্রথম যাত্রায় নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের কাছে বিশাল এক আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে গিয়েছিল তখনকার সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জাহাজ টাইটানিক। প্রাণ গিয়েছিল প্রায় দেড় হাজারের মতো মানুষের।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply