টাইটান দুর্ঘটনার পর এ ধরনের জলযানে সমুদ্রের তলদেশে ভ্রমণ কতোটা নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাবমার্সিবলটিতে এর আগে অভিযানে যাওয়া যাত্রীরা বলছেন, জলযানটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে উদ্ধার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের জলযান সাগরের তলদেশে নিখোঁজ হলে তা উদ্ধার প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল এবং ব্যয়বহুল। খবর রয়টার্সের।
টাইটানের সাবেক যাত্রী আর্থান লয়েবল বলেন, দুই বছর আগে টাইটানে করে সমুদ্রের গভীরে যাই। এখন বুঝতে পারছি তখন কতটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল সেই যাত্রা। সেখানে ঠিকমতো বসার এমনকি পা রাখারও জায়গা ছিল না। আমরা অনেকটাই সাপের মতো করে টাইটানে অবস্থান করছিলাম। সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছার সাথে সাথে তাপমাত্রা খুবই কমে যায়। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা অনুভব করতে থাকি আমরা।
শুধু ঝুঁকিই নয়, এর ধরনের জলযান উদ্ধার প্রক্রিয়াও অত্যন্ত জটিল ও ব্যয়বহুল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডুবে যাওয়া বস্তুর খোঁজে ব্যবহৃত সরঞ্জামের বেশিরভাগই রয়েছে শুধু সামরিক বাহিনীর কাছে। গবেষণা সংস্থাগুলোর কাছে যেসব সরঞ্জাম রয়েছে সেগুলোও অপ্রতুল।
ওশ্যান ডিসকভারি লিগের প্রেসিডেন্ট কেটি ক্রফ বেল বলেন, এ ধরনের উদ্ধার কাজ আসলে খুবই জটিল এবং সময় সাপেক্ষ। খুবই সংবেদনশীল সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয় এ ধরনের অভিযানে। টাইটান উদ্ধারে যেমন বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী যোগ দিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চলে উদ্ধার অভিযান। আর এসব যন্ত্রপাতিও খুবই ব্যয়বহুল।
অগভীর পানিতে চলাচলের জন্য বিভিন্ন ধরনের সাবমারসিবল রয়েছে। তবে হাজার ফুট গভীরে যেতে পারা ৫টি সাবমারসিবল আছে বিশ্বে, যার একটি টাইটান।
এএআর/
Leave a reply