ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে। মানবাধিকার বিশেষ করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মোদি সরকারের অবস্থানের কথা উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির একাধিক মুসলিম নেতাও। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরে হোয়াইট হাউজসহ ওয়াশিংটন এবং নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্থানে এই বিক্ষোভ হয়। আন্দোলনকারীরা ভারতে মোদি প্রশাসনের দমন পীড়ন এবং ধর্মীয় অসহিঞ্চুতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। সেখানে তুলে ধরা হয় কাশ্মিরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু নিপীড়নের ইস্যুটিও। ভারতজুড়ে চলা সহিংসতার জন্য মোদিকে দায়ী করেন তারা।
এর আগে মানবাধিকার ইস্যুতে, কংগ্রেসে মোদির ভাষণ বয়কট করেন কোরি বুশ, সামার লি, ইলহান ওমর এবং রাশিদা তালাইবসহ বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি। এ নিয়ে নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম নেতারা বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক ঘটনার সাথে জড়িত নরেন্দ্র মোদি। ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গা সংঘটনের পেছনেও হাত রয়েছে মোদির, যেখানে ১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আর এ কারণে তার মার্কিন ভিসাও সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়।
এক যৌথ বিবৃতিতে মার্কিন মুসলিম নেতা তালেব, বুশ, ওমর এবং জামাল বোমান বলেন, মোদি সরকার দেশটির মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সরাসরি টার্গেট করে নীপিড়ন করছে। এছাড়া ভিন্নমত এবং সাংবাদিকদেরও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। ইন্টারনেট শাটডাউন এবং সেনসরশিপের মাধ্যমে বাক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। আর সেই মোদিকে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার অনুমতি দিয়ে এই ধরনের মানবাধিকারবিরোধী কার্যক্রমকে সমর্থন দেয়া লজ্জাজনক।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডির আমন্ত্রণে বুধবার নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনে পৌঁছান নরেন্দ্র মোদি। শুরুতে জিল বাইনের সাথে পরিদর্শন করেন ভার্জিনিয়ার ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন। এর আগে জাতিসংঘের হেড কোয়ার্টার্সে আন্তর্জাতিক যোগব্যায়াম দিবসের বিশেষ আয়োজনে যোগ দেন মোদি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্টলেডির সাথে যোগ দেন নৈশভোজেও।
এসজেড/
Leave a reply