সেন্ট পিটার্সবার্গে ওয়াগনারের কার্যালয়ে রুশ সেনা বাহিনীর অভিযান

|

নিউইয়র্ক টাইমস থেকে সংগৃহীত ছবি।

রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে ভাড়াটে সেনা দল ওয়াগনার। এরইমধ্যে তারা দখলে নিয়েছে রোস্তভ অন ডন শহর। সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে ২৫ হাজার ওয়াগনার সেনা যাত্রা করেছে রাজধানীর পথে। কয়েকটি এলাকায় তাদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে রুশ বাহিনীর সাথে। এদিকে, সেন্ট পিটার্সবার্গে ওয়াগনারের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে রুশ সামরিক বাহিনী। মস্কোর স্পষ্ট ঘোষণা, এ বেঈমানির পরিণতি হবে ভয়াবহ। খবর রয়টার্সের।

শনিবার (২৪ জুন) ভোর থেকেই রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল রোস্তভ এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলোয় টহল দেয়া শুরু করে ওয়াগনার সদস্যরা। অবস্থান নেয়, স্কয়ার এরিয়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয়। এর কিছুক্ষণ পরই তারা দখলে নেয় রোস্তভে অবস্থিত রুশ সামরিক দফতর। নিয়ন্ত্রণ নেয় পুরো শহরের।

এর আগে, শুক্রবার (২৩ জুন) প্রকাশিত এক অডিও বার্তায় ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেলনি প্রিগোঝিন দাবি করেন, ওয়াগনারের দুই হাজার সেনাকে হত্যা করেছে রুশ সেনারা। এ হত্যাকাণ্ডের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে হুঁশিয়ারি দেন প্রতিশোধের। তবে তার মতে এটি কোনো সামরিক অভ্যুত্থান নয়, বরং ন্যায়বিচারের যাত্রা বলে আখ্যা দেন প্রিগ্রোঝিন। জানান, মস্কোয় সামরিক নেতৃত্ব উৎখাত করাই ওয়াগনারের লক্ষ্য।

ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন বলেন, মস্কোর সেনারা যেভাবে শিশু ও বেসামরিকদের হত্যা করছে ও করেছে আমরা তা করবো না। আমরা লড়বো শুধু পেশাদার সৈনিকদের সাথেই। তবে এটা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই যে, যে বা যারাই আমাদের সামনে বাধা হবে তাদের আমরা নিশ্চিহ্ন করে দেবো। কেউ আমাদের ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।

প্রিগোঝিনের এম হুমকির পরই সতর্ক অবস্থান নেয় পুতিন প্রশাসন। রোস্তভের বাসিন্দাদের দেয়া হয় ঘরে থাকার নির্দেশনা। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মস্কো যাওয়ার হাইওয়ে। ফলে রোস্তভেই আপাতত ঘাঁটি গেড়েছে ওয়াগনার গ্রুপ। রাজধানী মস্কোসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে ব্যাপক জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সরকারি ভবন, বাস, রেলস্টেশনগুলোসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোয় টহল দিচ্ছে সেনা সদস্যরা।

এদিকে, এখনই বিদ্রোহ বন্ধ করে আত্মসমর্পণ করতে ওয়াগনার প্রধানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রুশ সামরিক বাহিনী। অন্যথায় ভয়াবহ পরিণতি বরণ করে হবে প্রিগোঝিনকে- এমন হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। অভ্যুত্থানকে রাশিয়া এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে সরাসরি বেঈমানি বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে।

রুশ ডেপুটি জেনারেল স্টাফ লে. জেনারেল ভ্লামিদির আলেক্সিভ বলেন, এই সামরিক অভ্যুত্থান রাশিয়া ও প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে সরাসরি বেঈমানি। দেশের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপের পরিণতি হবে ভয়াবহ। প্রিগোঝিনকে বলবো এখনই মানসিকতা পাল্টাতে। যদি সে আত্মসমর্পণ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা কঠোর হবো না। নইলে এমন তাকে পরিণতি বরণ করতে হবে যা সে কল্পনাও করেনি।

এরইমধ্যে, সেন্ট পিটার্সবার্গে অবস্থিত ওয়াগনার গ্রুপের সদর দফতরে অভিযান চালিয়েছে রুশ সামরিক বাহিনী। এরপরই রোস্তভে রুশ উপ প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন ওয়াগনার প্রধান প্রিগোঝিন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply