কোলবালিশ নিয়ে ঘুমানোর আছে অনেক সুবিধা, আপনি জানতেন?

|

রাতে ঘুমানোর সময় কোলবালিশ নিয়ে শোয়ার অভ্যাস আছে অনেকের। আরামে ঘুম দিতে কোলবালিশ ছাড়া চলেই না, এমন মানুষের অভাব নেই। শোয়ার সময় দুই পায়ের মাঝে কুশন বা ছোট বালিশও রাখেন অনেকে। কেউ কেউ আবার ঘুম ভালো হবে ভেবে ছোট শিশুদেরও পাশবালিশে অভ্যস্ত করে তোলেন। তবে এতে কি আদৌ কোনো ক্ষতি হচ্ছে শরীরে? চলুন জেনে আসি গবেষণা কী বলছে…

মার্কিন সরকারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন’ এর একটি গবেষণাপত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে স্লিপ ফাউন্ডেশনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, কোলবালিশ নিয়ে ঘুমানোর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তো নেই-ই, উল্টে এর ইতিবাচক বেশ কিছু দিক রয়েছে। এবার জানা যাক, কোলবালিশ নিয়ে ঘুমালে কী কী উপকার হবে আপনার…

১) পিঠ, কোমরে ব্যথা হলে পাশবালিশ নিয়ে ঘুমালে উপকার পেতে পারেন। পাশবালিশ পায়ের মাঝে থাকলে কোমর ও পিঠের নিচের অংশ যে ভঙ্গিতে থাকে তাতে ব্যথা অনেকটা কম হয়ে আরাম পাওয়া যায়।

২) দু’পায়ের মাঝে কোলবালিশ নিয়ে ঘুমালে ঘুমের সময়ে মেরুদণ্ড স্বাভাবিক ভঙ্গিতে থাকে। সমীক্ষা বলছে, ঘুমের অঙ্গভঙ্গি ঠিক না থাকলে পরবর্তীতে হাড়ের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। কোলবালিশের নিয়মিত ব্যবহার সেই ঝুঁকি কমায়।

৩) বিভিন্ন কারণে অনেক সময়ে সায়াটিকা স্নায়ুগুলি কার্যক্ষমতা হারায়। এর ফলে কাঁধ থেকে শুরু করে কোমর পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে। এই ব্যথা সহজে কমতে চায় না। অনেকেই ওষুধ খান, হাঁটাচলা করেন, তবুও সমাধান মেলে না। তবে কোলবালিশ নিয়ে ঘুমোনোর অভ্যাসে অনেকে সময়ে সুফল পাওয়া যায়।

৪) অনেকেই আছেন, যারা পাশ ফিরে না শুয়ে চিত হয়ে ঘুমাতে ভালোবাসেন। সে ক্ষেত্রে পিঠের নিচে একটা পাতলা পাশবালিশ রাখতে পারেন। পিঠে ব্যথা না থাকলেও এর ফলে পিঠের পেশিগুলো সচল থাকে, ফলে ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে।

পাশবালিশ নিয়ে ঘুমানো একবার অভ্যাস করলে, পরে এটি ছাড়া ঘুম আসতেই চায় না অনেকের। তবে কোনো অভ্যাসে যদি ভালো কিছু হয়, তাহলে ক্ষতি কী?

এসজেড/





সম্পর্কিত আরও পড়ুন






Leave a reply