প্রয়াত কিংবদন্তি বাংলা ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’-র ‘বাপিদা’ ওরফে তাপস দাস। দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই করছিলেন ক্যানসারের সাথে। চিকিৎসাও চলছিল তার। চিকিৎসার খরচ জোগাতে বাপিদার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন দুই বাংলার শিল্পীরা। তবে রোববার (২৫ জুন) সে লড়াইয়ের হলো অবশান। ৬৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন এই কিংবদন্তি তারকা।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাপিদা’র ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসে। তার অসুস্থতার খবর শোনা মাত্রই তার পাশে এসে দাঁড়ান সঙ্গীতশিল্পীরা। চিকিৎসার খরচ জোগাতে তৈরি করা হয় তহবিল।
বাপিদা’র চিকিৎসা চলছিল পশ্চিমবঙ্গের এসএসকেএম হাসপাতালে। কিছুটা সুস্থ হয়ে কয়েক দিনের জন্য বাড়ি ফিরেছিলেন বাপিদা। পরে আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। আবারও এসএসকেএমেই নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। গত কয়েক দিন সেখানেই চলছিল চিকিৎসা। কিন্তু রোববার সকালে সকলকে কাঁদিয়ে চলে যান তিনি। সেই দুঃসংবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন রূপম।
এরইমধ্যে বাপিদা’র প্রয়াণে টুইটারের পাতায় শোক জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেখানে লেখেন, দেশের প্রথম রক ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র তাপস দাস ওরফে বাপিদার প্রয়াণে আমি শোকাহত। গত কয়েক মাস ধরে মারণরোগে ভুগছিলেন বাপিদা। রাজ্য সরকার তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিল। এসএসকএম হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। বাপিদার পরিবারের সদস্য ও তার অনুরাগীদের প্রতি আমার সমবেদনা।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে হাতে গিটার নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল ‘মহীনের ঘোড়ারা’। তৈরি হয় বাংলার প্রথম রক ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়গুলি’। এরপর একের পর এক মাইলস্টোন তৈরি হয়। আজও একই রকমভাবে জনপ্রিয় ‘পৃথিবী’, ‘টেলিফোন’, ‘তোমায় দিলাম’। মহীনের ঘোড়াগুলির অন্যতম মুখ ছিলেন বাপিদা। তার এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না ভক্তরা।
এটিএম/
Leave a reply