বাহারি নামের বিশাল সব গরু নজর কাড়ছে কক্সবাজারে পশুর হাটে। দেখতে আকর্ষণীয় হলেও দাম আকাশচুম্বি। পশুর মূল্য বেশি হওয়ার কারণে এবারের হাটে মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদাই বেশি। সরবরাহে ঘাটতি না থাকার পরও চড়া দাম নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
কক্সবাজারে আরসিজি এগ্রো খামারে এবার আলাদা করে নজর কাড়ছে ‘রাজা’। চালচলনেও রাজকীয় ভাব গরুটির। দিনে ৫ বেলা খাবার, সাবান এবং শ্যাম্পু দিয়ে গোসলসহ দিনে রাজার পেছনে খরচ হয় ১২০০ টাকা। কক্সবাজারে এই খামারে গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। গরুর মালিক বলেন, দিনে ২৪ থেকে ২৫ কেজি করে খাবার খায় গরুটি।
বিভিন্ন খামার ছাড়াও, কক্সবাজারের খারুলিয়া, ঈদগাঁহ, কলঘরসহ বিভিন্ন হাটে উঠেছে বাহারি নামের বিশাল সব গরু। এগুলোর দাম ৪ থেকে ৬ লাখ টাকার উপরে। তবে দাম নিয়ে খুশি নন ক্রেতা-বিক্রেতা কোনো পক্ষই। একদিকে ক্রেতারা বলছেন, অন্যবারের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি চাওয়া হচ্ছে দাম। ফলে পছন্দসই পশু কিনতে পারছেন না তারা। অন্যদিকে বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারের দাম একটু বেশি। তবে লাভের মুখ দেখছেন না তারা।
অবশ্য, কোরবানি ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বেচাবিক্রি শুরু হওয়ায় খুশি খামারি এবং কৃষকরা। প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, কক্সবাজারে এবার ১ লাখ ৪১ হাজার পশুর চাহিদার বিপরীতে মজুদ রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৫২ হাজার পশু।
এসজেড/
Leave a reply