অনিয়ম হলে পুরো ভোট বন্ধ করা হবে। আচরণবিধি কার্যকর করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নির্বাচন কমিশন। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থীদের সতর্ক করে এ কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে নির্বাচন ভবনে প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে এমন পরিবেশ থাকতে হবে। ঢাকা-১৭ আসনে ভোট ব্যালটে হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ব্যালটে ভোট জটিল হতে পারে, তবে নির্বাচন কমিশন তা কঠোরভাবে মনিটরিং করবে। সহিংসতা হলে ভোট বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা বলেন, কোনো প্রার্থী অন্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতে পারবে না। ভোটে অনিয়মের চেষ্টা না করতেও সতর্ক করেন তারা। আচরণবিধির কোনো ব্যত্যয় হলে দল-মত আমলে নেয়া হবে না বলেও জানান তারা।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা নির্বাচন সিসিটিভি দিয়ে নিবিড়ভাবে মনিটর করবো। অনেকে পেশিশক্তি লাগিয়ে ব্যালটে সিল দিয়ে স্টাপিং করতে থাকেন। সেটা কিন্তু করবেন না। এমনও হতে পারে আমরা চিহ্নিত করতে পারলাম না। সেক্ষেত্রে আমরা টোটাল ভোট বন্ধ করে দিতে পারবো; যদি বুঝি এটা ব্যাপকভাবে হচ্ছে। এ জন্য সার্বিক ভোট বিপন্ন হবে, বাধাগ্রস্ত হবে। জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে না। এটা আমাদের কাছে প্রতীয়মান হলে সম্পূর্ণ ভোট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো।
মত বিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপস্থিত না থাকায় বিরক্তি প্রকাশ করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। উপনির্বাচনে আদালতের আদেশে আরও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্ত হওয়ায় এখন প্রার্থী মোট ৮ জন।
/এম ই
Leave a reply