মামুনুর রশিদ:
ঈদের আগে বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফুরফুরে মেজাজে বাংলাদেশ ফুটবল ফুটবল দল। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বেঙ্গালুরুতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন জামাল-মোরসালিনরা। দলের অনেকেই এবারই প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে ঈদ উদযাপন করছেন। পরিবার-পরিজন ছেড়ে ঈদ উদযাপনে মন খারাপ হলেও লাল সবুজের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে খুশি তারা।
ঈদ ত্যাগের, মহিমার, আনন্দের। ঈদের অন্যতম সৌন্দর্য হলো পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়া। আর কোরবানির ঈদে সে আনন্দ আরও বাড়ে পরিবারের সাথে পশু কোরবানির মাধ্যমে। এমন আনন্দকে দূরে ঠেলে ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে এবারের ঈদ কাটাচ্ছেন বাংলাদেশ ফুটবল দল, দলের স্টাফ ও ম্যাচ কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার সকালে টিম হোটেল থেকে পায়ে হেঁটে মসজিদের পথ ধরেন ক্যাবরেরা শিষ্যরা। সেখানে জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন ফুটবলাররা। এ দলে এমন অনেকেই আছেন যারা দেশের বাইরে পরিবার ছেড়ে প্রথমবার ঈদ কাটাচ্ছেন। মন খারাপ থাকলেও দেশের জন্য খেলতে এসেছেন তাই খারাপ কমেছে।
ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিন বলেন, আমার আপু অনেকদিন পরে দেশে এসেছেন। আশা করেছিলেন যে আমি হয়তো ঈদে থাকবো। কিন্তু, থাকতে পারিনি। মনটা খারাপ হয়ে গেছে। বুঝতে দেইনি। এখন ভালো একটা রেজাল্ট নিয়ে দেশে ফিরতে চাই। তখন ফ্যামিলিকে সময় দিবো।
ডিফেন্ডার ইসা ফয়সাল বলেন, পরিবার ছাড়া একট খারাপই লাগছে। আবার, গতকাল ম্যাচ জিতেছি এজন্য ভালও লাগছে। কষ্ট কিছুটা কমেছে।
অপরিচিত মানুষ আর অপরিচিত স্থানে ঈদের জামাত শেষেও কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরতে হলো হোটেলে। ঈদের দিনেও আছে ব্যস্ত শিডিউল। ফাইনালের ওঠার লড়াইয়ে নামার আগে নিজেদের পুরোপুরি ফিট রাখা চাই।
১৪ বছর পর সাফের সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশ দুটবল এবারের ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে। এবার পালা ফাইনাল নিশ্চিতের। সে দোয়াই চেয়েছেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা।
/এসএইচ
Leave a reply