যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অশ্বেতাঙ্গ কোটা বাতিলের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

|

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তির ক্ষেত্রে অশ্বেতাঙ্গ কোটা বাতিলের নির্দেশ দিলেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ঐতিহাসিক রায়ে বলা হয়, অশ্বেতাঙ্গদের অগ্রাধিকার দিয়ে ভর্তি কার্যক্রম চালাতে পারবে না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। এ নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। রায়ের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তার দাবি এর মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে সম-অধিকার প্রাপ্তি নষ্ট হবে। খবর রয়টার্সের।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদের অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়েছেন বহু কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘু শিক্ষার্থী। দেশটিতে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য চালু ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য বিশেষ কোটা। যাতে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায় তারা।

কয়েক দশক ধরে চলা এই কোটা বাতিলের নির্দেশ দিলেন সুপ্রিম কোর্ট। হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস ফর ফেয়ার অ্যাডমিশন নামের একটি সংগঠন গেলো বছরের অক্টোবরে এই কোটার বিরুদ্ধে মামলা করে। দাবি করা হয় এতে এশিয়ান-আমেরিকানরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই মামলার জেরেই এমন রায় দিলো যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলছে কোটা পদ্ধতি ১৯৬৪ সালের নাগরিক অধিকার আইনের লঙ্ঘন।

তবে এই রায়ের বিরোধিতা করে খোদ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, এই রায় শেষ সিদ্ধান্ত হতে পারেনা। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তখনই সম্পূর্ণ যখন সব জাতির শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি থাকে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কোটার প্রয়োজন আছে। কেননা আমেরিকায় এখনো বৈষম্য বিদ্যমান। এগিয়ে যেতে হলে সবাইকে সাথে নিয়ে চলতে হবে। আদালতের রায়ের সাথে আমি একমত হতে পারছি না। আমেদের একটি এমন পথ দরকার যা আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

৬০’র দশক থেকে শুরু হওয়া এই কোটা বাতিল নিয়ে শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। মামলার বাদী এবিগেল ফিশার বলেন, চামড়ার রঙ্গের উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেয়া অনুচিত। আবেদনপত্রে এমন সুযোগ থাকা বৈষম্যকেই বাড়িয়ে দেয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাগরিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়।

তবে এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষার্থী অধিকার সংস্থা। আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ৯টি রাজ্যে জাতি-ভিত্তিক কোটার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply