ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলার অভিযোগ, আহত ১০

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, মাদারীপুর:

মাদারীপুরে ফুটবল খেলার বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িতে পাঁচটি বাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের পশ্চিম রঘুরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন, ওই এলাকার মৃত নিতানন্দ পোদ্দারের ছেলে সুভাষ পোদ্দার (৩০), লক্ষীকান্ত পোদ্দারের ছেলে দ্বীপ পোদ্দার (১৮), হরিদাস পোদ্দারের স্ত্রী লক্ষ্মী রানী পোদ্দার (৫০), মৃত মহানন্দ পোদ্দারের ছেলে স্বপন পোদ্দার (৪৫) ও সদানন্দ পোদ্দারের ছেলে জয় পোদ্দার (২২)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে পশ্চিম রঘুরামপুর এলাকার বালুর মাঠে ফুটবল খেলছিলেন কয়েকজন স্থানীয় যুবক। খেলার সময় সদানন্দ পোদ্দারের ছেলে জয় পোদ্দারের সাথে কথার কাটাকাটি হয় একই এলাকার বাবুল মোল্লার ছেলে রাজিব মোল্লার। এ ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় রাজিব মোল্লা, নান্টু মোল্লা ও পারভেজ মোল্লাসহ প্রায় ২০-২৫ জন সদানন্দ পোদ্দার, নিত্যানন্দ পোদ্দার, স্বপন পোদ্দার, লক্ষ্মীকান্ত পোদ্দার ও মধুসূদন পোদ্দারের বসতবাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তাদের বাঁধা দিতে গেলে সুভাষ পোদ্দার, দ্বীপ পোদ্দার, লক্ষ্মী রানী পোদ্দার, স্বপন পোদ্দার ও জয় পোদ্দারসহ অন্তত ১০ জনকে পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। পরে খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভুক্তভোগী জয় পোদ্দার বলেন, ফুটবল খেলা নিয়ে রাজিব মোল্লার সাথে আমার মধ্যে তর্ক হয়, তবে সেটা সেখানেই মিটমাট হয়ে যায়। পরে রাজিব তার দলবল নিয়ে আমাদের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। আমরা বাঁধা দিলে আমাদের ওপরে তারা হামলা চালায়। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।

আহত লক্ষ্মী রানী পোদ্দার বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম। হঠাৎ করে অনেক লোকজন রামদা নিয়ে আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালাতে থাকে। আমি তাদের নিষেধ করায় আমাকেও মারধর করে তারা। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি বসতবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply