পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা গুনতে হচ্ছে নেইমারের

|

ছবি: সংগৃহীত

বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেই না ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমারকে। কদিন আগে সন্তানসম্ভবা প্রেমিকার বিশ্বাসভঙ্গ করে তোপের মুখে পড়েছিলেন নেইমার। সেটা নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যেই যোগ হলো আরেকটি দুঃসংবাদ। বাড়ি বানাতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত বড় অঙ্কের জরিমানা দিতেই হচ্ছে নেইমারকে। পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৩৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার (১ কোটি ১০ লাখ ব্রাজিলিয়ান হেইয়াস) জরিমানা গুনতে হবে ব্রাজিলের এই ফুটবল তারকাকে। খবর এএফপির।

ব্রাজিলিয়ান কর্তৃপক্ষ সোমবার (৩ জুন) এই জরিমানার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়। নেইমারের এক মুখপাত্র এটি নিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। 

ব্রাজিলের মানগারাতিবা শহর পরিষদ সচিবালয়ের অভিযোগ, পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও নগর কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে বাড়ির পাশে কৃত্রিম লেক ও সৈকত নির্মাণ করেছেন নেইমার, যা স্বচ্ছ পানির উৎসে বাধা সৃষ্টি করেছে।

রিও ডি জেনেরিওর দক্ষিণ প্রান্তে উপকূলীয় শহর মাঙ্গারাচিবাতে বিলাসবহুল এই প্রাসাদ গড়ে তুলছেন নেইমার। ২০১৬ সালে তিনি এই জায়গা কিনেছিলেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। আড়াই একর জায়গা জুড়ে এই বাড়িটিতে হেলিপ্যাড, স্পা, জিমসসহ আরও অনেক কিছুই আছে। 

দিন দশেক আগে বাড়িটির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় পরিবেশ বিভাগের যথাযথ অনুমতি নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয় তখন। এই বাড়িটি পরিষ্কার পানি, পাথর ও বালির ব্যবহার ও প্রবাহ বাধাগ্রস্থ করা সম্পর্কিত আইন লঙ্ঘন করেছে বলে সেই সময় বিবৃতিতে জানানো হয়।

ছবি: সংগৃহীত

মানগারাতিবা শহর পরিষদ সচিবালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নেইমার অনুমোদন ছাড়া নদীর পানি দখলে নিয়েছেন, যা পানির গতিপথ পাল্টে দিয়েছে। কৃত্রিম লেক ও সৈকত নির্মাণ করতে গিয়ে পরিবেশের আরও ক্ষতি করেছেন। জমি অপসারণ ও গাছপালা কেটে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

এর আগে নেইমারের বিরুদ্ধে নদীর পানি, পাথর ও সৈকতের বালু তোলার অভিযোগও এনেছিল স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নেইমার সেখানে পার্টির আয়োজন করেছেন এবং লেকে গোসল করতে নেমেছেন।

এই অভিযোগের সর্বনিম্ন শাস্তি ছিল ৫০ লাখ ব্রাজিলিয়ান হেইয়াস। কিন্তু আইন ভঙ্গের মাত্রা গুরুতর হওয়ায় নেইমারের জরিমানা হয়েছে তিন গুণেরও বেশি। 

নেইমার পার পাচ্ছেন না শুধু এই জরিমানা দিয়েই। স্থানীয় অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস, রাজ্য পুলিশ কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ সুরক্ষা দপ্তরসহ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের আরও বেশ কয়েকটি কর্তৃপক্ষ সবাই আলাদা করে এটির তদন্ত করছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেবে তারাও।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply