চাকরি দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি অফিসে এক গৃহবধূকে (৪০) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, ভুক্তভোগী তার প্রক্ষাঘাতগ্রস্ত স্বামী ও দুই সন্তানসহ পুরান ঢাকায় বসবাস করেন। ২-৩ মাস আগে হাইকোর্ট মাজারে গিয়েছিলেন ভুক্তভোগী। সেখানে মোনাজাতে তাকে কান্নারত অবস্থায় দেখে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তি তার কান্নার কারণ জানতে চায়। এ সময় ভুক্তভোগীর সাথে বিভিন্ন কথা বলে সখ্য গড়ে ওই ব্যক্তি। তখন ভুক্তভোগী তার পরিবারের অসচ্ছলতা ও স্বামীর অসুস্থতার কথা জানালে ওই ব্যক্তি তাকে চাকরির প্রস্তাব দেয়। তার ফোন নম্বর নেয় এবং পরবর্তীতে তাকে ফোন দেবে বলে জানায়।
স্বজনরা আরও জানান, সোমবার দুপুরে চাকরি দেয়ার কথা বলে ওই ব্যক্তি ভুক্তভোগীকে ফোন করে সেগুনবাগিচার জি.কে টাওয়ারের ৪র্থ তলায় ডাকে। সেখানে একটি ছোট অফিস রুমে বসে ছিল ওই ব্যক্তি। ভুক্তভোগী সেখানে ঢোকার পর তার পড়ালেখাসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চায় অভিযুক্ত। কথার এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে কুপ্রস্তাব দেয় সে। চাকরি পেতে হলে তার প্রস্তাবে রাজি হতে হবে বলেও জানায়। এরই এক পর্যায়ে তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণের শিকার হন ভুক্তভোগী। এ সময়, ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রাখতে হত্যার হুমকিও দেয়া হয় ভুক্তভোগীকে। তখন তিনি নিজেই সেখান থেকে বের হয়ে যান। পরে, ফোনে স্বজনদেরকে বিষয়টি জানালে তারা শিল্পকলা একাডেমির পাশের রাস্তা থেকে ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে রমনা থানার এসআই আরিফ রাব্বানী জানান, চিকিৎসার জন্য ভুক্তভোগীকে ঢামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করানো হয়েছে। এখনও কোনো মামলা দায়ের হয়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
/এসএইচ
Leave a reply