লর্ডস টেস্ট শেষ। তবে শেষ হয়নি পঞ্চম দিনে জনি বেয়ারস্টোর আউট নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের পক্ষে-বিপক্ষের আলোচনা। এবার সেখানে যোগ দিলেন আইসিসির সাবেক এলিট আম্পায়ার সাইমন টফেল। লিংকডইনে একটি পোস্টে তিনি জানতে চেয়েছেন, অ্যালেক্স ক্যারির করা জনি বেয়ারস্টোর স্ট্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ বা ক্রিকেটীয় চেতনার কোন ধারা ভঙ্গ করেছে অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকইনফোর খবর।
এমসিসির আইন প্রণয়নকারী সাব কমিটির বর্তমান সদস্য সাইমন টফেল তার পোস্টে বলেন, লর্ডস টেস্টে বেয়ারস্টোকে আউট করার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটীয় চেতনার কোন ধারা ভেঙেছে? এই প্রশ্নটিই আমি গত কয়েকদিনে শুনে আসছি। তাই ভেবেছি, প্রকাশ্যে কিছু প্রশ্ন করেই এ ব্যাপারে আমার ভাবনার কথা প্রকাশ করবো।
- উইকেটরক্ষক কোনো ব্যাটারকে স্ট্যাম্পিং করার চেষ্টা করবে না; অন ফিল্ড আম্পায়ারকে ফিল্ডিং সাইডের কাছে এমন কথা কেউ বলতে শুনেছেন?
- প্রথম ইনিংসে বেয়ারস্টো যখন মার্নাসকে ঠিক একইভাবে স্ট্যাম্পিং করার চেষ্টা করেছিল তখন কি কারও কাছ থেকে কোনো অভিযোগ ছিল?
- জনি বেয়ারস্টো তার আউট সম্পর্কে কী বলেছে? সে তো চুপচাপ। কেন?
- আমার অভিজ্ঞতা হলো, যখন মানুষ ক্রিকেটের আইনের অধীনে আউট হওয়া পছন্দ করে না, তখনই তারা তাদের মতের সমর্থনে ক্রিকেটীয় চেতনাকে টেনে আনে।
- ক্রিকেটীয় চেতনার প্রস্তাবনার কোন অংশ ফিল্ডিং সাইড ভঙ্গ করেছে?
- আউটের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়ার পর তা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ফিল্ডিং সাইড কি অনৈতিকভাবে কোনো প্রভাব বিস্তার করেছিল?
- আইনানুসারে আউট হওয়ার পর ব্যাটারের কি সেই সিদ্ধান্ত অমান্য করা উচিত?
সাইমন টফেল যোগ করেন, কিছু লোক এবং গোষ্ঠীর ভণ্ডামি এবং নীতিগত ধারাবাহিকতার অভাব খুবই অদ্ভুত এবং উদ্বেগজনক। তাদের কাছে হয়তো আমার কথাকে অসামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হতে পারে। ভালো খবর হচ্ছে, আমরা এখনও এই খেলার সেরা ভার্সন, টেস্ট ক্রিকেটের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছি।
আরও পড়ুন: বেয়ারস্টোর আউট ও ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ এ বিভক্ত ক্রিকেট বিশ্ব
/এম ই
Leave a reply