হজের একটি আনুষ্ঠানিকতা হচ্ছে, শয়তানের তিনটি স্তম্ভে ২১টি নুড়ি পাথর নিক্ষেপ করা। চলতি বছর ১৮ লাখ মুসলিম সেখানে নিক্ষেপ করেছেন ১০ কোটির বেশি নুড়ি পাথর। প্রতি বছর হাজীরা যেসব পাথর নিক্ষেপ করেন, সেগুলো কোথা থেকে আসে, আর হজের পরেই বা কোথায় যায়, এ বিষয়টি নিয়ে রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। খবর আরব নিউজের।
মূলত তাবুর শহর মিনা থেকেই হাজীরা জামারাত ব্রিজে যান শয়তানের প্রতীকী স্তম্ভে পাথর নিক্ষেপের উদ্দেশ্যে। তারা যে পাথরগুলো ছুড়ে মারেন, তার মোট ওজন দাঁড়ায় ১০০০ টন। হজ শেষে এসব পাথর আবার ফিরে যায় সরকারি গোডাউনে। শুনতে সহজ মনে হলেও সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল।
মিনা থেকে জামারাত ব্রিজে যাওয়ার পথে অবস্থিত পাথর নিক্ষেপের ৩টি স্তম্ভ। পিলারগুলোর চারপাশের ফাঁকা স্থান দিয়ে নিচে পড়ে হাজীদের নিক্ষেপিত পাথর। ৪ তলা ব্রিজের প্রতিটি তলায় রয়েছে স্বয়ংক্রিয় মেশিন।
এ নিয়ে কিদানা ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি মুখপাত্র আহমেদ আল সুবহি বলেন, পাথর সংগ্রহ থেকে শুরু করে পরিষ্কার করা সম্পূর্ণ কার্যক্রম চলে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে। নুড়ি পাথরগুলো ধুয়ে শুকিয়ে রিসাইকেল করা হয়। আগামীতে ব্যবহারের জন্য প্যাকেট করে পাঠানো হয় গোডাউনে। সাধারণত হাজীরা জামারাত অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার পরে করা হয়ে থাকে নিক্ষেপিত কঙ্কর সরানোর কাজ।
কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে নুড়ি পাথর জমা হয় ৫ তলা বিশিষ্ট বেজমেন্ট ফ্লোরে। এখানে রয়েছে পাথর বাছাইয়ের অত্যাধুনিক সেন্সর। ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয় বাছাইকৃত নুড়ি। সবশেষে প্যাকেট করে পরবর্তী হজে ব্যবহারের জন্য জমা রাখা হয় সুরক্ষিত গুদামে।
নুড়ি পাথরের ব্যাগ বিতরণের জন্য মিনা ও মুজদালিফাতে রয়েছে প্রায় ৩০০টি স্থান। এবার হজ মৌসুমে সরবরাহ করা হয় ৮৩ হাজার ৪১১ বস্তা নুড়ি। দক্ষ ব্যবস্থাপনার ফলে হাজীরা সবসময় হাতের কাছেই পেয়ে যান প্রয়োজনীয় পাথর।
এসজেড/
Leave a reply