ফুটবলে ‘কিক’ মারায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা

|

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর চাটখিলে ফুটবলে ‘কিক’ মারায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত ওসমান গণি (১৫) উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের মোকামী বাড়ির মিজানুর রহমানের ছেলে এবং স্থানীয় সপ্তগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, গত রোববার (৯ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার বসতঘর সংলগ্ন আঙ্গিনায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

নিহতের জেঠাতো ভাই শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, গত রোববার দুপুর ২টার দিকে আমাদের প্রতিবেশী মানিকপুর গ্রামের পুরান বাড়ির মন্টুর ছেলে মুসলিম (১২) বাড়ির সামনের রাস্তা সংলগ্ন আঙ্গিনায় ফুটবল খেলছিল। ওসমান তার পাশেই পাকা নামাজের টং ঘরে বসে মোবাইল চালাচ্ছিল। হঠাৎ বল গিয়ে ওসমানের পায়ের কাছে পড়লে ওসমান ফুটবলে জোরে কিক মারে। তখন ফুটবলটি পাশের একটি একতলা বিল্ডিংয়ের ছাদে গিয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক মুসলিম কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে জানায় ওসমান তার ফুটবলে কিক মেরে ফেলে দিয়েছে। কিছুক্ষণ পর মুসলিমের বাবা মো. মন্টু (৩২) একটি লোহাকাঠ নিয়ে ওসমানকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মঙ্গলবার ভোররাতের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন, হামলাকারী মিন্টুর বেশ কয়েকজন আপন ভাই রয়েছে। এরা সবাই উশৃঙ্খল। আমরা সবাই ঢাকা থাকি। ওসমানের পরিবারও ঢাকা থাকতো। কয়দিন আগে তার বাবা গ্রামে একটি বাড়ি করে। হামলাকারী মিন্টু ভবন নির্মাণের সময় কাজ চেয়েছিল। ওই কাজ না পেয়ে সে ওসমানের পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। না হলে শুধুমাত্র ফুটবলে একটি কিক মারার কারণে একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে?

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ওই কিশোর আজকে মারা যায় বলে শুনেছি। এ ঘটনায় নিহতের মা উম্মে হানি রুমা ঘটনার দিন রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ মামলায় নেয়।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply