গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া জনতা ব্যাংকের পিয়ন রঞ্জু আটক

|

সিনিয়র রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ :

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নেয়া জনতা ব্যাংকের পিয়ন আওলাদ হোসেন রঞ্জু আকন্দকে (৪০) গোপালগঞ্জ হতে আটক করেছে পুলিশ। তিনি গোপালগঞ্জ সদর থানার পূর্ব মিয়াপাড়া গ্রামে অবস্থান করছিলেন।

আটক রঞ্জু শাহজাদপুর পৌরসভার পাড়কোলা মহল্লার মৃত নুরুল আকন্দের ছেলে ও উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ঈদের ছুটির পর হতে পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রঞ্জু গ্রাহকদের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেছে। এনজিওসহ বিভিন্নভাবে নেয়া ৩৫ লাখ ঋণের টাকার সুদ দিতে গিয়েই এমন কাজে জড়িয়েছেন তিনি।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

জানা গেছে, ২০০৩ সালে জনতা ব্যাংক শাহজাদপুর শাখাতে রঞ্জু পিওন কাম পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে (কাজ নেই, বেতন নেই) প্রকল্পে যোগদান করেন। এরপর ২০১৬ সালের দিকে তিনি ঋণগ্রস্ত হলে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ১৫ লক্ষ টাকার মতো ঋণ নেয়। এ ঋণের টাকা পরিশোধ করতে টিএমএসএস, ব্র্যাক, আশা, দিশাসহ বিভিন্ন এনজিও থেকে আরও প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ঋণ নেয়। তাকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৩০ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হতো। এরপর ২০২২ সালের শুরুর দিকে গ্রাহকদের কাছ থেকে জালিয়াতি করে টাকা নেয়ার পরিকল্পনা করে পরিচিত গ্রাহকদের টার্গেট করে এবং তাদের একাউন্ট খুলে দেয়। পরে গ্রাহকরা টাকা তুলতে গেলে তারা যে টাকার পরিমাণ লিখতেন তার বাম পাশে গোপনে সে একটি ডিজিট বসিয়ে বেশি টাকা তুলতেন। আবার মাঝে মাঝে সে চেক নিজের কাছে রেখে তার কাছে থাকা টাকা দিয়ে দিতেন। পরে সুবিধামতো সময়ে চেক দিয়ে বেশি টাকা উত্তোলন করতেন এবং ব্যাংকের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া ভাউচার দিতেন।

পুলিশ জানায়, এভাবে ২৫ জন গ্রাহকের ৪৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গত কোরবানির ঈদের ছুটির পর গা ঢাকা দেন রঞ্জু। তখন জনতা ব্যাংক শাহজাদপুর শাখার ব্যবস্থাপক জেহাদুল ইসলাম গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রাপ্ত অভিযোগ ও রঞ্জু অনুপস্থিত থাকায় থানায় ডায়েরি করেন। অভিযোগ দায়ের করেন গ্রাহকরাও। পরে গত সোমবার রাতে গোপালগঞ্জের পূর্ব মিয়াপাড়া থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply