টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফেভারিট কি আফগানিস্তান?

|

ছবি: সংগৃহীত

ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ ফেভারিট থাকা সত্ত্বেও সিরিজ খুইয়েছে ২-১ ব্যবধানে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৪ ও ১৬ জুলাই দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও কি বাংলাদেশ ফেভারিট? নাকি রশিদ বাহিনী এই ফরম্যাটে টাইগারদের থেকে খানিকটা এগিয়ে?

সংস্করণ যতো ছোট, আফগানরা ততোই শক্তিশালী। হেড টু হেড রেকর্ডও আফগানদের পক্ষে। দুই দলের নয়বারের দেখায় রশিদরা জিতেছে ৬বার এবং সাকিব বাহিনী জিতেছে মাত্র ৩টি ম্যাচ। একসময় রশিদরা ভারতের দেরাদুন স্টেডিয়ামকে নিজেদের হোম গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করতো। ২০১৮ সালে সেখানে টাইগারদের ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করেছিল। টাইগাররা রশিদ-মুজিবদের বিপক্ষে কখনোই সিরিজ জিততে পারেনি। বোঝা যাচ্ছে যে, আফগানিস্তান বাংলাদেশের বিপক্ষে পরিস্কার ফেভারিট।

দেশ বিদেশের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে আফগান ক্রিকেটাররা নিয়মিত খেলে থাকেন। টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বব্যাপী তাদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আফগানদের ওয়ানডে স্কোয়াড থেকে টি-টোয়েন্টি দল বরাবরই আলাদা হয়ে থাকে। স্কোয়াডে আফগান অধিনায়ক রশিদ খান তো রয়েছেনই, বাংলাদেশে এ সংস্করণ খেলতে এসেছেন বেশ কিছু ‘টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট’ ক্রিকেটার। মোহাম্মদ শাহজাদ অনেক দিন পর দলে ফিরেছেন। দলে আছেন চায়নাম্যান বোলার নুর আহমেদ, যাকে সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে আইপিএল ব্যাটারদের।

অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের অধিনায়কত্বের দায়িত্বে রয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ সংক্ষিপ্ত সংস্করণ খেলতে দলে ডাকা হয়েছে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে। আছেন রনি তালুকদার, শামিম হোসেন। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অনেক দিন পর টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ফিরেছেন আফিফ হোসেন।

আফগানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। ফেভারিট না হলেও সাকিবরা যেভাবেই হোক, সিরিজটি জিততে চাইবেন। সারতে চাইবেন নিশ্চয়ই ওয়ানডে সিরিজ পরাজয়ের ক্ষত।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply