পাবিপ্রবিতে শত কোটি টাকার অডিট আপত্তি

|

ছবি: সংগৃহীত

পাবনা প্রতিনিধি:

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য ড. এম রোস্তম আলীর সময়কার শত কোটি টাকার অডিট আপত্তি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) থেকে প্রকাশিত ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ নিরীক্ষা বছরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও ২৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অডিট ইন্সপেকশন রিপোর্টে পাবিপ্রবির চলমান উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে অনিয়ম ও অসঙ্গতি ধরা পড়েছে।

সিএজির অডিট রিপোর্টে প্রকল্প নিয়ে ১৫টি বিষয়ের ওপর অডিট আপত্তি এসেছে। যেখানে আর্থিক অনিয়ম ও অসঙ্গতি ১০০ কোটি টাকার বেশি। এ রিপোর্টে পাবিপ্রবির ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩০টি বিষয়ের ওপর অডিট আপত্তি এসেছে।

অডিট আপত্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, প্রকল্পের বিভিন্ন খাতে বাজেট বরাদ্দের অতিরিক্ত ব্যয় ৫২ কোটি ২৮ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা, ডিডিপি লঙ্ঘন করে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির পরিবর্তে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে আর্থিক ক্ষমতা বহির্ভূত অনিয়মিতভাবে আসবাবপত্র সরবরাহের জন্য ১৫ কোটি ৪০ লক্ষ ৩০ হাজার ১৩৩ টাকার কার্যাদেশ, ঠিকাদারের বিল হতে জামানত কর্তনের নামে কর্তনযোগ্য জামানতের অতিরিক্ত অর্থ প্রকল্প হিসাব হতে অনিয়মিতভাবে জামানত হিসেবে ১৫ কোটি ৫৫ লক্ষ ৯০ হাজার ৫৮৬ টাকা স্থানান্তর, কোনরূপ আর্থিক বিধি-বিধান অনুসরণ ছাড়াই গাড়ির জ্বালানি সরবরাহকারী ফিলিং স্টেশনকে প্রাপ্যতাবিহীন সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে ৩৭ লক্ষ টাকা অগ্রিম প্রদান করাসহ অন্যান্য। এ ছাড়াও প্রকল্প নিয়ে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমন্বিতভাবে অডিট আপত্তি এসেছে।

অডিট রিপোর্টে দেখা যায়, প্রকল্পের ১৫টি অডিট আপত্তির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১০টি আপত্তির জবাব দিয়েছেন। পাঁচটি আপত্তি গ্রহণ করলেও সেগুলোর কোনো জবাব দেননি।

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আজিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অডিট আপত্তি থাকতেই পারে। আমি ঢাকায় আছি, অডিট আপত্তির জবাব দিয়েছি।

/এএআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply