বুড়িগঙ্গায় ওয়াটার বাস ডুবি: ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

|

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর তেলঘাটে ওয়াটার বাস ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। দুর্ঘটনার ১২ ঘণ্টা পর পানির নিচ তোলা হয়েছে ওয়াটার বাসটি। ভেতরে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। স্বজনদের দাবি, এখনও নিখোঁজ রয়েছে কয়েকজন।

সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে ডুবে যাওয়া নৌযানটি টেনে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরে আটটা নাগাদ বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ওয়াটার বাসটিকে টেনে তোলে।

কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিএ আমাদের জাহাজ উদ্ধারের কাজ শেষ হয়েছে। যেহেতু নিখোঁজের দাবি এখনও আছে, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় আমাদের পেট্রোলিং ও অনুসন্ধান বজায় রাখবো।

এই ঘটনায় বালুবাহী বাল্কহেডের ছয়জনকে আটক করেছে নৌপুলিশ। নৌপুলিশের পুলিশ সুপার আহাদুজ্জামান মিয়া বলেন, বাল্কহেডের সাথে চালকসহ যারা ছিল তাদের সকলকেই আমরা গ্রেফতার করেছি। তারা পুলিশ হেফাজতে আছে। এ সংক্রান্ত আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। অভিযোগ আকারে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার ও হতাহতদের ১৫ হাজার টাকা সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসক।

রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে রাজধানীর শ্যামবাজার থেকে তেলঘাট যাচ্ছিল ওয়াটার বাসটি। পথে এমভি আরাবি নামে একটি বালুবোঝাই বাল্কহেডের সাথে ধাক্কা লেগে ওয়াটার বাসটি ডুবে যায়। এ সময় আশেপাশের নৌযান থেকে বেশ কয়েকজন যাত্রীকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তারা ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনের মরদেহ ও ৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করে।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply