ইউপি সদস্যকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী-কন্যাসহ আটক ৩

|

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনকে নিজ ঘরে গলা কেটে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছ পুলিশ। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যের স্ত্রী, তাদের মেয়ে ও মেয়ের প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকালে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ইউপি সদস্যের ভাই আব্দুল আজিজ মন্ডল। গতরাত ২টার দিকে উপজেলার মালিয়াট গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ধারালো দা উদ্ধার করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলো- নিহত ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মাহফুজা বেগম, তার মেয়ে উম্মে সুমাইয়া ইয়াসমিন মিতু ও মেয়ের প্রেমিক পাচকাহুনিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাজ্জাত হোসেন চয়ন।

কালীগঞ্জ থানা ওসি মাহবুবুর রহমান জানায়, গত ১২ জুলাই দুপুরে নিজ বাড়িতে গলা কেটে হত্যা করা হয় মালিয়াট ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনকে। কিন্তু ঘটনার দিন ইউপি সদস্য স্ট্রোক করে শোকেসের গ্লাসের ওপর পড়ে গলা কেটে মারা যান বলে প্রচার করেন হত্যাকারীরা। এরপর স্থানীয়রা তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।

তিনি জানান, এর আগে ইউপি সদস্যের মেয়ে মিতুর বিয়ে হয়েছিল। কিছুদিন সংসার করার পর তাদের ডিভোর্স হয়। এরপর তার মেয়ে উম্মে সুমাইয়া ইয়াসমিন মিতু পাশের গ্রাম পাচকাহুনিয়া গ্রামের সাজ্জাত হোসেন চয়নের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাদের বিয়ের কথাও চলছিল। কিন্তু ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বিয়েতে রাজি ছিলেন না। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হতো। এরই জের ধরে গত বুধবার তাকে নিজ ঘরে গলা কেটে হত্যা করে তারা।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply