প্রচণ্ড গরম আর বিদ্যুতের তীব্র সংকটে অবরুদ্ধ গাজায় জনজীবন বিপর্যস্ত। ইসরায়েলি বাহিনীর অবরোধে অঞ্চলটিতে এমনিতেই রয়েছে খাবার, পানি আর বিদ্যুতের ভয়াবহ সংকট। তারমধ্যে দাবদাহের কবলে পড়েছে অঞ্চলটি। ফলে চরম দুর্ভোগে দিন পার করছেন সেখানকার বাসিন্দারা। রয়টার্সের খবর।
তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে একটি রাবার চৌবাচ্চার মধ্যে নোংরা পানিতে শরীর জুড়ানোর চেষ্টা করছে সেখানকার শিশুরা; এমন দৃশ্য অনেকটাই নিয়মিত গাজার শরণার্থী শিবিরে। তার সাথে যোগ হয়েছে বিদ্যুতের সংকট। কর্তৃপক্ষ বলছে, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলের মতো দাবদাহে পুড়ছে গাজাও। এরইমধ্যে তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি। রয়েছে খাবার পানির তীব্র সংকট। ফলে বিপাকে সেখানকার বাসিন্দারা। তারা বলেছেন, এতটা গরম আগে কখনও পড়েনি। বাচ্চাদের নিয়ে খুবই কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে। এক বাসিন্দা বলেন, ফ্যান কেনার মতো অর্থ নেই আমার কাছে। আর কিনেই বা কী করবো? দিনে তো বিদ্যুতই থাকে না! গরমে কষ্ট করছি আর আল্লাহর কাছে বিচার দিচ্ছি।
২০০৭ সাল থেকেই হামাস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকায় বসবাস প্রায় ২৩ লাখ মানুষের। তাদের জন্য প্রায় ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হলেও গাজায় নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় মাত্র ৬০ মেগাওয়াট। ইসরায়েল থেকে সরবরাহ করা হয় ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ফলে দৈনিক ১২ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিংয়ের কবলে থাকতে বাধ্য হয় গাজার বাসিন্দারা।
গাজার জ্বালানি বিভাগের প্রধান জালাল ইসমাইল বলেন, সাধারণ মানুষ খুবই ক্ষুব্ধ। একদিকে গরম অন্যদিকে বিদ্যুৎ নেই। গেল ২ সপ্তাহ ধরে গরম বেড়েই চলেছে। আমরা চেষ্টা করছি উৎপাদন আরও বাড়ানোর। হয়তো ৫ মেগাওয়াট থেকে সর্বোচ্চ আরও ২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। তবে এটাও পর্যাপ্ত নয়।
/এম ই
Leave a reply