৮০ বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অফিস বিল্ডিংয়ের খেতাব ছিল পেন্টাগনের দখলে। এইবার সেই তকমা ছিনিয়ে নিচ্ছে ভারত। দেশটির গুজরাট প্রদেশের সুরাট শহরে নির্মিত হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম অফিস ভবন। উদ্বোধনের পর পরিবেশবান্ধব এই প্রকল্পটি হবে ভারতের হীরা ব্যবসার প্রধান কেন্দ্র। খবর সিএনএন এর।
সুরাট ডায়মন্ড বোর্স নামের ১৫ তলা এই কমপ্লেক্সটি জুড়ে চলবে হীরার কারবার। ৬৭ লক্ষ বর্গফুটের এই অফিস বিল্ডিং আকারে-আয়তনে পেন্টাগনের থেকেও বড়।
বিশ্বের প্রায় ৯০ ভাগ ডায়মন্ড প্রক্রিয়াজাত করা হয় সুরাটে। হীরা ব্যবসার ওয়ান স্টপ ডেস্টিনেশন হবে সুরাট ডায়মন্ড বোর্স। হীরা পরীক্ষার অত্যাধুনিক ল্যাব, গ্রেডিং ও সার্টিফিকেশন সিস্টেম, ব্যাঙ্ক, নিরাপত্তা ভল্ট, কাস্টম জোন ও রেস্তোরাঁ— সবকিছুই হবে এক ছাদের নিচে।
সুরাট ডায়মন্ড বোর্স প্রকল্পের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মহেশ গারভি বলেন, আমরা যখন এই বিল্ডিং কমপ্লেক্স তৈরি করছিলাম, তখন ভাবিনি এটি আমেরিকার পেন্টাগনকে পিছনে ফেলবে। সুরাটের ১০ হাজারের বেশি হিরে ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্যই আমরা এই বাজারটি তৈরি করেছি।
৩৫ একর জমির ওপর তৈরি কমপ্লেক্সটিতে রয়েছে ৯টি টাওয়ার। ৩ হাজার ২০০ কোটি রুপি খরচ করে নির্মিত এই হীরার বাজারে থাকবে ৪৭০০টি অফিস স্পেস। বিশ্বের ৩৫০টি হীরা কোম্পানির প্রায় ৬৫ হাজার দক্ষ কর্মী সেখানে কাজ করবেন।
সুরাট ডায়মন্ড বোর্স সরাসরি কর্মসংস্থান করবে দেড় লাখ লোকের। কর্মচারি ও ক্রেতাদের বহনে থাকবে ১৩১টি লিফ্ট। গোটা কমপ্লেক্সে বিদ্যুতের জোগান আসবে সোলার প্যানেল সংযুক্ত স্বতন্ত্র সাবস্টেশন থেকে।
বছরে প্রায় তিন লক্ষ কোটি রুপির ডায়মন্ড কেনাবেচা হয় হীরার শহর সুরাটে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ উদ্বোধন হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই অফিস বিল্ডিং।
/এমএন
Leave a reply