ব্রাজিলে বিষক্রিয়ায় কয়েক কোটি মৌমাছির মৃত্যু, মাথায় হাত মৌয়ালদের

|

হঠাৎ ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছির মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় চলছে ব্রাজিলে। দেশটির কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে প্রাণ গেছে অন্তত ১০ কোটির বেশি মৌমাছির। সংশ্লিষ্টরা জানান, কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে এসব মৌমাছির। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত মৌয়ালরা। এরই মধ্যে অবৈধভাবে কীটনাশক ব্যবহারকারীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। খবর সিবিসি নিউজের।

মূলত, ব্রাজিলের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ মাতো গ্রোসোতে বহু মানুষের জীবিকাই এই মৌমাছির চাষ। তবে বেশ কিছুদিন ধরে একের পর এক মৌচাকে ঝাঁকে ঝাঁকে মৃত মৌমাছি পাওয়া যাচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব মেলাতে গিয়ে মাথায় হাত মৌয়ালদের।

ভুক্তভোগী এক মৌয়াল বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব এখনও করিনি। ৫ বছরের পরিকল্পনা ছিল। ফের চাষ প্রক্রিয়া শুরু করতে অনেক সময় লাগবে।

লাখ লাখ মৌমাছির মৃত্যুতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। কৃষি বিভাগের জরুরি তদন্তে অন্তত ৬০০ মৌচাকে ফাইপ্রোনিলের সন্ধান মিলেছে। শস্যের জন্য মাটিতে এই কীটনাশক ব্যবহারের অনুমতি আছে। তবে মৌমাছির জন্য এটি ক্ষতিকর বলে বাতাসে স্প্রে করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

এ নিয়ে ব্রাজিলের বিশেষজ্ঞ রদ্রিগো ভিসেঞ্জি বলেন, এই বিষ বাতাসে মেশানোর কোনো নিয়ম নেই। তেলজাত কিছু শস্যের বেলায় কেবল মাটিতে ব্যবহারের লাইসেন্স দেয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে বি কিপারস অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্লাকির সিগনোরিনি বলেন, ফাইপ্রোনিল বাতাসকে দূষিত করে। এখন সবগুলো মৌচাক পুড়িয়ে ফেলতে হবে। কারণ দুই বছর পরেও এগুলোতে মৌমাছি এসে বসতে পারে। এতে আবারও এমন গণহারে মৌমাছির মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে।

এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের তদন্তে অভিযুক্ত এক খামারিকে ৪৭ হাজার ডলারের বেশি জরিমানা করা হয়েছে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply