জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে। সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে এ তথ্য জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। অসতর্কতা, উদাসীনতা এবং গাফিলতির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে অভিযুক্ত করা হলেও এ ঘটনার জন্য কোনো ধরনের শাস্তির সুপারিশ করেনি তদন্ত কমিটি।
সম্প্রতি সরকারি ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেছে আইসিটি মন্ত্রণালয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং প্রযুক্তি খাতের কর্মকর্তারা। সভা শেষে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ব্রিফিং করেন। তিনি জানান, তথ্য ফাঁসের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের কারিগরি দুর্বলতাকে প্রধান কারণ বলে মনে করছে তদন্ত কমিটি। ওই প্রতিষ্ঠানে যথাযথ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন লোকবলের ঘাটতি রয়েছে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এখানে কাউকে শাস্তি দেয়ার কোনো সুপারিশ আসেনি। আমাদের তদন্ত কমিটির সুপারিশে কাউকে আর্থিক বা আইনগত কোনো শাস্তি দেয়ার সুপারিশ আমরা পাইনি।
সাইবার ঝুঁকির বিষয়ে সরকারের ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে স্পর্শকাতর বলে সতর্ক করা হলেও, এসব প্রতিষ্ঠান এখনও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। আর তথ্য ফাঁসের সাথে নির্বাচন কমিশন এবং ন্যাশনাল ডাটাবেইজের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান তিনি। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এখানে ন্যাশনাল আইডির সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। ভোটার লিস্টের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। এটা শুধুমাত্র আপনি জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন নিবন্ধনের জন্য কিংবা পুরনো নিবন্ধনের সংশোধনের জন্য আবেদন যখন করছে এবং, আবেদনের সংরক্ষিত যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত আছে, সেগুলোকে কেউ চাইলে নিয়ে যেতে পারছিল।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, জন্ম ও নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে ২২ কোটি তথ্য রয়েছে; যা উন্মুক্ত অবস্থায় ছিল। এখান থেকে কী পরিমাণ তথ্য ফাঁস হয়েছে তা এখনও নিরূপণ করা যায়নি। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি জানান, কারিগরি সক্ষমতার অভাবে তথ্য ফাঁসের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের প্রোগ্রামার ফাহমিদা শিরিন বলেন, তথ্যগুলো উন্মুক্ত ছিল, এটা আমার পক্ষেও বলা সম্ভব না। কারণ, এটা সিঙ্গেল একটা ইনপয়েন্ট ছিল। সিস্টেম থেকে অটো জেনারেটেড যে নাম্বার পড়তো, সেটা যদি মিলে যায় তাহলে তথ্য দেখা যেতো। অন্যথায় দেখা যেতো না।
প্রতিবেদনে, সাইবার নিরাপত্তায় প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের জন্য পৃথক সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ ইউনিট গঠনের পাশাপাশি বরাদ্দ বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে।
/এম ই
Leave a reply