ভারতের তথ্য অধিকার আইন (আরটিআই) অনুযায়ী সরকারের কাছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছিলেন দেশটির এক নাগরিক। সাথেসাথে না পেলেও একমাস পর কাঙ্ক্ষিত তথ্য পেয়েও যান তিনি। কিন্তু, তথ্য পেয়ে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ! দেখা যায় যে, সরকারের পক্ষ থেকে ৪০ হাজার পৃষ্ঠার এক জবাব পেয়েছেন তিনি। খবর এনডিটিভির।
শনিবার (২৯ জুলাই) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, মাসখানেক আগে মধ্য প্রদেশ সরকারের কাছে কোভিড-১৯ বিষয়ক তথ্য চান ধর্মেন্দ্র শুক্লা নামের এক ব্যক্তি। তবে যথাসময়ে রাজ্য সরকার তাকে কোনো জবাব না দিলেও মাস খানেক পর হুট করেই ধর্মেন্দ্রকে তার দাবিকৃত তথ্য নিতে অফিসে যেতে বলে মধ্যপ্রদেশ সরকার। তথ্য নিতে অফিসে গিয়ে রীতিমতো হতবাক হয়ে যান ধর্মেন্দ্র। তিনি দেখেন যে, তার জন্য ৪০ হাজার পৃষ্ঠার জবাব তৈরি করে রেখেছে সরকার। পরে একটি এসইউভি গাড়িতে করে সেসব তথ্য বাড়ি নিয়ে যেতে হয়েছে ধর্মেন্দ্রকে।
মজার বিষয় হলো, আবেদনের পর নির্ধারিত এক মাসের মধ্যে সরকার তথ্য দিতে না পারায় ৪০ হাজার পৃষ্ঠার তথ্য পেতে এক পয়সাও ব্যয় করতে হয়নি ধর্মেন্দ্রকে। নিয়মানুযায়ী, সরকারের কাছ থেকে যেকোনো তথ্য পাওয়ার জন্য প্রতি পৃষ্ঠা ২ রুপি করে ফি দিতে হয় ভারতীয় নাগরিদেরকে।
এ প্রসঙ্গে ধর্মেন্দ্র শুক্লা বলেন, ইন্দোরের চিফ মেডিকেল অ্যান্ড হেলথ অফিসারের কাছে একটি আরটিআই (তথ্য অধিকার) আবেদন জমা দিয়েছিলাম যাতে কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং সংশ্লিষ্ট উপকরণ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত দরপত্র এবং বিল পরিশোধের বিশদ জানতে চেয়েছিলাম। যেহেতু তারা এক মাসের মধ্যে তথ্য সরবরাহ করেনি তাই প্রধান আপিল কর্মকর্তা ডা. শারদ গুপ্তের কাছে গিয়ে এ ব্যাপারে আপিল করি। তিনি আমার আবেদন গ্রহণ করেন। আমাকে বিনামূল্যে এসব তথ্য দেয়ার নির্দেশও দেন সংশ্লিষ্ট বিভাগকে।
নথিপত্রগুলো নিয়ে যেতে গাড়ি ব্যবহারের ব্যাপারে ধর্মেন্দ্র বলেন, নথিপত্রগুলো নিয়ে যেতে আমি আমার এসইউভি এনেছিলাম। ড্রাইভিং সিট ছাড়া পুরো গাড়িটিই কাগজে ভরে গিয়েছিল।
/এসএইচ
Leave a reply