ইরাক-সিরিয়ার মতো রাশিয়াকেও ধ্বংসের পরিকল্পনা পশ্চিমাদের, যা সফল হবে না: পুতিন

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

ইরাক-সিরিয়া-লেবাননের মতো রাশিয়াকেও ধ্বংস করে দিতে চায় পশ্চিমা শক্তি। তবে সে পরিকল্পনা কোনোভাবেই বাস্তবায়িত হতে দেয়া হবে না- বলে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চলমান এ যুদ্ধ বন্ধের চাবিকাঠি পশ্চিমাদের হাতে আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

শনিবার (২৯ জুলাই) আফ্রিকান দেশগুলোর নেতাদের সাথে আয়োজিত এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন পুতিন। বৈঠকে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান আফ্রিকান নেতারা। যদিও রুশ প্রেসিডেন্টের দাবি, যুদ্ধ বন্ধের চাবিকাঠি আছে পশ্চিমাদের হাতেই।

সম্প্রতি সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত রাশিয়া-আফ্রিকা সম্মেলনে বিভিন্ন ইস্যু আলোচিত হলেও সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় আফ্রিকায় রাশিয়ার খাদ্য সরবরাহ, আফ্রিকার সাথে রাশিয়ার শস্য চুক্তি আর ঋণের বিষয়টি। এরইমধ্যে আফ্রিকার ছয় দেশে বিনামূ্ল্যে শস্য সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। মওকুফ করা হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৩শ কোটি ডলারের ঋণও। তা স্বত্ত্বেও সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আফ্রিকান নেতাদের আহ্বান যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার। এ ইস্যুতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকেই অগ্রসর ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেন, আমরা এখনও শান্তির পক্ষেই কথা বলবো। কারণ, এ যুদ্ধের যত নেতিবাচক প্রভাব তার সবই পড়ছে আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর। আমাদের অর্থনীতি, খাদ্যব্যবস্থা থেকে শুরু করে প্রতিটি খাতই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কীভাবে ইউক্রেন-রাশিয়ার এ সংকট সমাধানে শান্তিপূর্ণ পথ খোঁজা যায় আমাদের লক্ষ্যও সেটাই।

যদিও রুশ প্রেসিডেন্টের দাবি, সংকট সমাধানের চাবিকাঠি পশ্চিমা শক্তির হাতে আছে। সংকটের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকেই দায়ী করেন তিনি। বলেন, রাশিয়া কঠোর না হলে সিরিয়া-ইরাকের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, হুট করে বা একদিনের মধ্যে এ সংকটের সৃষ্টি হয়নি। বছরের পর বছরের পশ্চিমা উস্কানির অনিবার্য ফলাফল এ যুদ্ধ। পশ্চিমারাই রাশিয়ার নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে ইউক্রেনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। পশ্চিমারা ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়ার সাথে যে আচরণ করেছে একই আচরণ আমাদের সাথেও করতে চায়। কিন্তু তারা ভুলে গেছে যে রাশিয়ার সাথে ওই দেশগুলোর পার্থক্য আছে।

এদিকে, শস্যকে রাশিয়া অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে আবারও অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতেই মস্কো এমনটা করছে বলে অভিযোগ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply