কোমরের ব্যথার চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে ঢাকা ফিরেছেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পিঠে জোড়া ইনজেকশন নিয়ে ফিরেছেন এই দেশসেরা এই ওপেনার। যদিও মাঠে ফিরতে তামিমকে অন্তত ২ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। তবে অধিনায়ক-কোচসহ নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে এই সময়ে। বিমানবন্দরে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানালেও গণমাধ্যমের সাথে কোনো কথা বলেননি তামিম।
সোমবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটা ৪০ মিনিটে দেশে ফিরেন তামিম ইকবাল। বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা সেরে এরপর নিজের গাড়িতে করে বেরিয়ে যান। একইদিনে মিরপুরে শুরু হয়েছে জাতীয় দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প।
জানা গেছে লন্ডনের মেরুদণ্ড বিশেষজ্ঞ টনি হ্যামন্ডের অধীনে চলছিল তামিমের চিকিৎসা। সাথে ছিলেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। একদিনের ব্যবধানে পিঠে দেয়া হয় দু’টি ইনজেকশন। আপাতত সুস্থ বোধ হলেও এক সপ্তাহ পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে তাকে। এরপর আরও এক সপ্তাহ থাকতে হবে মাঠের বাইরে। এর মাঝে ব্যথা না হলে ১২-১৪ দিনের মধ্যে ফিরতে পারবেন স্কিল ট্রেনিংয়ে। কিন্তু ব্যথা অনুভব করলে পুনরায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে তাকে।
ক্রীড়াঙ্গনে বহুল চর্চিত প্রশ্ন, এই ইনজেকশনে কতদিন ব্যথা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব? যেকোনো সময়ই নাকি ফিরে আসতে পারে ব্যথা- সেটি ১ মাসও হতে পারে কিংবা ৪ মাসও হতে পারে। এমন সব অনিশ্চয়তাকে সঙ্গী করে এর মাঝেই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মিটিং করতে হবে তামিমকে। ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটিকে জানাবেন অবসর নাটকীয়তাসহ নিজের অবস্থান। সেখানে হয়তো অধিনায়কত্বের বিষয়টিও উঠে আসতে পারে। তবে দলের ভেতরকার নানা বিষয় যে উঠে আসবে তার ইঙ্গিত আগেই দিয়ে রেখেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক।
/আরআইএম
Leave a reply