রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জেদ্দায় অনুষ্ঠিতব্য শান্তি সম্মেলনে অংশ নেবে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধ বন্ধে জেদ্দা সম্মেলনে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে আশাবাদী মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যদিও এই বৈঠকে মস্কো অংশ নেবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট করেনি ক্রেমলিন। তবে পুরো আয়োজন মস্কো পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানানো হয়েছে। খবর গার্ডিয়ানের।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই শান্তি সম্মেলন নিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন পর্যায়েই নানা আলোচনা চলছে। ৫ ও ৬ আগস্ট অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলনে অংশ নেবে ৩০টি দেশ। পশ্চিমা দেশগুলোর পাশাপাশি এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর নেতারাও থাকবেন বৈঠকে। এরইমধ্যে বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়ে নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ বিষয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, এই শান্তি সম্মেলনকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, ইউক্রেন সংকট সমাধানে যেকোনো আলোচনা হলে তাতে মুখ্য ভূমিকায় রাখতে হবে কিয়েভকে। সৌদি আরবের উদ্যোগে আয়োজিত এই বৈঠকে তারই প্রতিফলন হবে বলে আমরা আশা রাখছি। তাই এই সম্মেলনে অংশ নেবে মার্কিন প্রতিনিধিরাও।
অবশ্য, এই বৈঠকে মস্কো অংশ নেবে কিনা তা এখনও অনিশ্চিত। তবে এই আলোচনাকে স্বাগত জানিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা যেকোনো আলোচনাকে স্বাগত জানাই। সৌদি আরব যে শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে তাকে স্বাগত জানাই আমরা। তবে কেউ যদি মনে করে যে, আলোচনায় বসেই আমাদের অভিযান বন্ধ করা যাবে তাহলে তার উত্তর হলো, ‘না’। প্রেসিডেন্ট পুতিন আগেই স্পষ্ট করেছেন, যতক্ষণ না আগ্রসন বন্ধ হবে, ততক্ষণ অভিযান চলবে।
এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বিশেষ অধিবেশন বসে। জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান ডেভিড বিসলি জানান, বিশ্বের ৮২ দেশের প্রায় ৩৪ কোটি মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছেন। যুদ্ধের কারণে তা বেড়ে ৭০ কোটি ছাড়াতে পারে। এসময় ইউক্রেন থেকে সেনা সরিয়ে নিতে আবারও রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এসজেড/
Leave a reply