নজিরবিহীন বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চীনের উত্তরাঞ্চল। প্রবল বন্যার কবলে পড়েছে রাজধানী বেইজিং, তানজিং ও হুবেই প্রদেশ। ভূমিধস হয়েছে অনেক এলাকায়। চারদিনের দুর্যোগে ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২৭ জন। খবর সিসিটিভি প্লাসের।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিখোঁজদের অনুসন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে। সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি রয়েছে রাজধানী বেইজিংয়ে। জরুরি বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সাথে যোগ দিয়েছে পিপলস লিবারেশন আর্মি।
উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছে, একেকটি উদ্ধার অভিযান যেন শ্বাসরুদ্ধকর অভিজ্ঞতা। গত চারদিন ধরেই দূর-দূরান্ত থেকে সহায়তা চেয়ে ফোন পাচ্ছে জরুরি বিভাগ। বিভিন্ন স্থান থেকে খবর মিলছে আটকা পড়ার।
এদিকে টাইফুন ডকসুরির প্রভাবে বেড়ে গেছে ইয়েলো ও হুয়াই নদীর পানির উচ্চতা। সাথে চলছে অস্বাভাবিক বৃষ্টি। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) পর্যন্ত গড়ে ২৬৩ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে অঞ্চলটিতে। এর মধ্যে চাংপিং জেলায় হয়েছে সর্বোচ্চ ৭৪০ মিলিমিটার। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত, দেড় লাখ বাসিন্দার শহর মেন্টোগু। প্রবল বর্ষণে তলিয়ে গেছে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। মারাত্মক ব্যাহত হয়েছে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। অনেক এলাকায় বন্ধ করা হয়েছে রেল চলাচল। বিশাল এলাকাজুড়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ।
মঙ্গলবার চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেইজিং, তিয়ানজিন ও হুবেই অঞ্চলে উদ্ধার অভিযানে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৫ মিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি আকাশপথেও দেয়া হচ্ছে জরুরি সহায়তা। হুবেই প্রদেশের ঝুয়োঝৌ শহরে বুধবার পর্যন্ত উদ্ধার করা হয় ১ লাখ মানুষকে।
দুর্যোগের কবলে চীনের প্রতিবেশী জাপান ও ফিলিপাইনও। ডকসুরির প্রভাব না কাটতেই শক্তিশালী টাইফুন খানুন আঘাত হানতে যাচ্ছে অঞ্চলটিতে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র ঝড়। জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বীপগুলো থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।
এএআর/
Leave a reply