‘লড়াইয়ে সুবিধা করতে না পেরে বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তাকে টার্গেট করেছে রাশিয়া’

|

লড়াইয়ের ময়দানে সুবিধা করতে না পেরে এখন বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তাকে রাশিয়া লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। বুধবার (২ আগস্ট) ড্রোন হামলায় দানিয়ুব নদী তীরের একটি শস্যাগার ধ্বংসের পর এই অভিযোগ তোলেন তিনি। কিয়েভের অভিযোগ অস্বীকার করলেও, ক্রেমলিন জানিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব শর্ত মানলে শস্যচুক্তিতে ফিরতে প্রস্তুত রাশিয়া। খবর বিবিসির।

সম্প্রতি ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ড থেকে রুশ হামলার পরিধি বেড়েছে কৃষ্ণ সাগর আর তীরবর্তী বন্দরগুলোতে। সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার ওডেসা এবং দানিয়ুব নদী তীরের ইজমাইল পোর্টে চালানো হয় অভিযান।

ইউক্রেনের অভিযোগ, ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীন নৌ-বন্দর। যেখানকার একটি শস্যাগারে মজুদ ছিল ৪০ হাজার টন খাদ্যশস্য। যা আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলোতে সরবরাহের জন্য রাখা হয়েছিল।

জেলেনস্কি বলেন, শুধু ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামেনি রাশিয়া। বরং পুরো বিশ্বকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে দেশটি। রাশিয়ার ক্ষ্যাপাটে প্রেসিডেন্ট চান, বৈশ্বিক খাদ্যের বাজারে ধস নামুক। তারা চায় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ুক। সরবরাহ লাইনে তারা বিঘ্ন ঘটাতে চায়। এর মাধ্যমে লাভবান হতে চায় ক্রেমলিন। ভয়ঙ্কর খেলায় মেতেছে পুতিন প্রশাসন।

এর একদিন আগেই, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কৃষ্ণ সাগরে বেসামরিক জাহাজে হামলার চেষ্টার অভিযোগ আনে রাশিয়া। তাদের দাবি, কিয়েভের এই সন্ত্রাসী তৎপরতা পুরোপুরি নস্যাৎ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বক্তব্য, শর্তপূরণ হলেই মস্কো ফিরবে শস্যচুক্তিতে।

এ নিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়া এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন ১০০ বার বলেছেন, কোনো সমঝোতা নয়, বরং যেকোনো মুহূর্তে শস্যচুক্তিতে ফেরত যেতে রাজি আমরা। কিন্তু আমাদের শর্তগুলো আগে পূরণ করতে হবে। যা এখনও আমলে নিচ্ছে না ইউক্রেন ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা।

বৃহস্পতিবারও রাজধানী কিয়েভের লোকালয়ে অন্তত ১০টি ড্রোন ছুঁড়েছে রুশবহর, এমন অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। খেরসনেও চলছে পুতিন সেনাদলের জোরালো অভিযান। সেখানে, বেসামরিক মানুষ হতাহতের তথ্যও জানিয়েছে জেলেনস্কি প্রশাসন।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply