মাত্র ১০ বছর বয়সেই ফুটবল ম্যাচে রেফারিংয়ের কাজ করছেন বলিভিয়ার এরিক কাজেখাস। ইতোমধ্যেই ম্যাচ পরিচালনা করেছেন স্থানীয় টুর্নামেন্টেও। এরিকের বাবাও একজন রেফারি। বাবার কাছ থেকে ম্যাচের নিয়মকানুন শিখে এখন নিজেও বাঁশি হাতে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই বিস্ময়বালক। তার স্বপ্ন এখন বিশ্বকাপেও ম্যাচ পরিচালনা করা। রয়টার্সের খবর।
বলিভিয়ার শহর এল আল্টোর লোকাল খেলাগুলোতে হরহামেশাই দেখা মেলে বাঁশি হাতে ছুঁটতে থাকা কাজেখাসের। যে বয়স বাবা-মার হাত ধরে পথ চলতে শেখার, কিংবা বল নিয়ে খেলাধুলা করার সেই সময়েই দিব্যি রেফারি হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা করছেন কাজেখাস। যে বয়সী খেলোয়াড়দের ম্যাচ তিনি পরিচালনা করেন, তাদের তুলনায় বয়সের হিসেবে বেশ ছোট বলিভিয়ার এই কিশোর। লোকাল নারী টুর্নামেন্টে প্রথমবার ম্যাচ পরিচালনা করার দায়িত্ব পান কাজেখাস। সেই থেকে শুরু। স্থানীয়ভাবে এখন বেশ জনপ্রিয় ১০ বছর বয়সী এই ক্ষুদে রেফারি।
বাবা রামিরো কাজেখাস নিজেও একজন রেফারি। বাবাকে আদর্শ মেনে তার দেখানো পথেই হাঁটছে এই ক্ষুদে বালক। রেফারিংয়ের নিয়মকানুনও শিখেছেন বাবার কাছ থেকেই। এরিক কাজেখাস বলেন, আমি আমার বাবার কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি। মেয়েদের খেলায় রেফারিং করে ক্যারিয়ার শুরু করেছি। আমি নিয়মকানুন নিয়ে বেশি কিছু জানতাম না। তবে কিছুটা জানতাম কারণ, আমিও ফুটবল খেলেছি। আমার বাবাও যেহেতু একজন রেফারি, তাই তিনিই আমাকে নিয়মকানুন শিখিয়েছেন।
বয়সভিত্তিক দলগুলোতে এই অল্প বয়সেই রেফারির বাঁশি বাজাচ্ছেন অনায়াসে। যদিও তার স্বপ্নটা এক সময় আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করা। কাজেখাস বলেন, আমার ইচ্ছা বলিভিয়ান ডার্বিতে রেফারিং করা। আমার স্বপ্ন ফিফার রেফারি হওয়া, যাতে আমি বিশ্বকাপেও ম্যাচ পরিচালনা করতে পারি। আমেরিকা কাপ, স্বাধীনতা কাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কাজ করার স্বপ্ন দেখি আমি।
ছোট্ট জীবনে বাবা-মার হাত ধরেই এতদূর আসা এরিকের। নয়ন জোড়ায় স্বপ্নটা জলজল করছে এই প্রতিভাবানের। যে বয়সে স্বপ্নের মানেটাই বোঝা দায়, সেই বয়সে বিশ্ব মাতানোর স্বপ্ন এরিক কাজেখাসের।
/এম ই
Leave a reply