Site icon Jamuna Television

মরদেহ আটকে রেখে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ওয়ার্ড মাস্টারের বিরুদ্ধে, নতুন বিতর্কে খুমেক পরিচালক

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আতাউর রহমান।

খুলনা প্রতিনিধি:

মর্গে মরদেহ আটকে রেখে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে। এবার তার পক্ষে অবস্থান নিয়ে আলোচনায় হাসপাতাল পরিচালক ডা. রবিউল হাসান ও প্রধান সহকারী মাহাবুব।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মরদেহ আটকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওয়ার্ড মাষ্টার আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে প্রতিবেদন সম্প্রচার করে যমুনা টেলিভিশন। এই ঘটনার পর কৈফিয়ত চেয়ে আতাউরকে চিঠি দেন হাসপাতাল পরিচালক রবিউল হাসান। জবাবও দেন ওর্য়াড মাস্টার। তবে তা সন্তোষজনক নয় জানিয়ে পুনরায় ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে পত্র জারির নির্দেশ দেয়ার কথা জানান পরিচালক। তারপর থেকেই শুরু হয় রহস্যজনক আচরণ।

দ্বিতীয় চিঠিতে কী আছে, সেটা না জানালেও হাসপাতাল পরিচালক বলেন, চিঠির উত্তর পেয়েছেন তিনি। পত্র জারি ও ব্যাখ্যার ব্যাপারে অনুসন্ধানে নামে যমুনা টেলিভিশন। একপর্যায়ে জানা যায়, তিন মাসেও কৈফিয়তের দ্বিতীয় চিঠিটি ইস্যু হয়নি। যিনি চিঠি পাঠাবেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।

আতাউর বলেন, তিনি একটি চিঠি পেয়েছেন এবং গত ১৮ মে তার জবাবও দেয়া হয়েছে। হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. এ টি এম এম মোর্শেদ বলেন, আতাউরকে ঘিরে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত। প্রভাবশালী বিধায় কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না। সে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার, একইসঙ্গে অন্য নামে কনট্রাক্টরের কাজ করে থাকে।

এদিকে, মরদেহ আটকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে হাসপাতালের আউটসোর্স কর্মচারী জাহাঙ্গীরকে বরখাস্ত দেখিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অথচ গত মাসে শেষ হয়েছে জাহাঙ্গীরের কাজের মেয়াদ।

/এএম

Exit mobile version