আখাউড়ার সেই রেলসেতুতে নিরাপত্তা জোরদার, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

|

আখাউড়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় কেল্লা বাবার মাজার এলাকায় চলন্ত ট্রেনের ধাক্কা ও আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপিয়ে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় সেই রেলসেতু পারাপারে নিরাপত্তা জোরদার করেছে প্রশাসন ও মাজার কর্তৃপক্ষ। রেল সেতুর দুই প্রান্তে সতর্কতামূলক ব্যনার টানানো হয়েছে। সেই সাথে কেল্লা বাবার মাজারে আগত ভক্তদের সেতুর ওপর দিয়ে পারাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বাড়তি সতর্কতাও নেয়া হয়েছে ওই স্থানে।

সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সেই রেলসেতুর উভয় প্রান্তে বাঁশের নিরাপত্তাবেষ্টনী দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সেতুর দুই প্রান্তেই সতর্কতা মূলক ব্যানার টানানোসহ রেলসেতু এবং রেললাইন এলাকায় মানুষের চলাচল নিরাপদ রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত রেলওয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্য। এ ছাড়াও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সক্রিয় আছে মাজার কমিটির সেচ্ছাসেবকরাও।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত পৌনে ৯টার দিকে খরমপুর মাজারের পশ্চিম পাশে রেল সেতু অতিক্রম করছিল। ওই সময় রেলসেতু পার হয়ে মাজারের দিকে আসছিলেন ভক্তরা। হঠাৎ সামনে ট্রেন দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তারা। এ সময় চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় এবং অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে তিতাস নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও রেলওয়ে পুলিশ পৃথকভাবে উদ্ধার অভিযান চালায়। অভিযানে ওই দিন রাতেই ২ জন এবং পরদিন (শুক্রবার) নদী থেকে আরও দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, এই ঘটনার পর রেলওয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও মাজার কমিটি নড়েচড়ে বসেছেন। এ ঘটনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ঢাকা) ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে, যার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply