পাকিস্তানে গির্জায় আগুনের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের গভীর উদ্বেগ

|

পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গির্জায় আগুন ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাকিস্তানের সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর সিএনএন এর।

বুধবার (১৬ আগস্ট) কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর জারানওয়ালায় একটি খ্রিষ্টান অধ্যুষিত এলাকায় হামলা চালায় শত শত মানুষ। একটি গির্জায় আগুনও ধরিয়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, পাকিস্তানে কোরআন অবমাননার খবরে গির্জা ও বাড়িঘরে হামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তমতকে সমর্থন করে। সহিংসতা কিংবা সহিংসতার হুমকি কখনও মত প্রকাশের গ্রহণযোগ্য পন্থা হতে পারে না। এসব অভিযোগের বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত পরিচালনা এবং সেই সাথে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য আমরা পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

এর আগে, পাকিস্তানের জারানওয়ালায় কোরআনের পাতা ছিঁড়ে লাল কালিতে অসম্মানজনক লেখার অভিযোগ ওঠে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সেই খবর। তেহরিক-ই লাব্বায়েক পাকিস্তান (টিএলপি) নামের একটি দলের ডাকে খ্রিষ্টান অধ্যুষিত এলাকায় লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে শত শত মানুষ। অগ্নিসংযোগ করা হয় অন্তত চারটি গির্জায়। বাইবেল ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগও করেছেন অনেকে। হামলার ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালান এলাকাটির খ্রিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষ।

স্থানীয় কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ব্লাসফেমির অভিযোগে জারানওয়ালা তহসিলের বেশ কয়েকটি গির্জা ভাঙচুর করেছে উত্তেজিত জনতা। সহিংসতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক কাকার। আলজাজিরার একটি প্রতিবেদন বলছে, এই সহিংসতার অভিযোগে এরই মধ্যে দেশটিতে ১৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৯৬ শতাংশ মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ পাকিস্তানে ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এখনও এই আইনে কারও সাজা কার্যকর হয়নি। তবে জনতার হাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply